ঝিনাইদহঃ

চার বছর চাকরী করেছেন। বসেছেন চেয়ার টেবিলে। হাজিরা খাতায় সাক্ষর করেছেন। এখন কলেজ কর্তৃপক্ষ বলছেন তোমার চাকরী নাই। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার রামনগর এ,এ্যান্ড,জে কলেজের নিন্মমান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর শাহ আলমের ক্ষেত্রে ঘটেছে এই ঘটনা। ওই পেদ মোটা অংকের টাকা নিয়ে আরেকজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন কালীগঞ্জ উপজেলার কাদিরকোল গ্রামের মৃত খোরশেদ আলীর ছেলে শাহ আলম।

তবে অধ্যক্ষ মোকলেছুর রহমান পিন্টু বলেছেন তাকে আগের সভাপতি সাময়িক ভাবে মৌখিক নিয়োগে দিয়েছিলেন। কিন্তু বোর্ড বা কমিটির কোন অনুমোদন ছিল না। এ জন্য এটাকে নিয়োগ বলা যাবে না। কলেজ থেকে বের করে দেওয়ার পর শাহ আলম ঝিনাইদহ জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং ২৭৯/১৯।

শাহ আলমের ভাষ্যমতে, তাকে গত ২০/৪/২০১৫ তারিখে নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ডের সুপারিশ ও ২২/০৪/১৫ তারিখে গভানিং বডির নিয়োগ অনুমোদন ক্রমে ‘নিন্মমান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর’ পদে নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। এছাড়া ২৫/০৪/১৫ তারিখ হইতে ০২/০৫/১৫ তারিখের মধ্যে যোগদান পত্র দাখিল সাপেক্ষে যোগদান করতে বলা হয়। এতে সাক্ষর করেন অধ্যক্ষ মকলেছুর রহমান। কিন্তু ৩/৪/১৮ তারিখে দুইটি পত্রিকার বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক শুন্য পদে সাজ্জাদ হোসেনকে ‘অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর এবং কাদিরকোল গ্রামের ফজের বিশ্বাসের ছেলে কাজলকে মাস্টার রোলে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে শাহ আলমের নিয়োগ সাবেক সভাপতি শরিফুল ইসলামের হাত দিয়ে হওয়াই তার মৃত্যুর পর এই নাটকীয় পরিবেশ সৃষ্টি করা হচ্ছে মোটা অংকের টাকা বানিজ্য করার জন্য।

কাদিরকোল গ্রামের আব্দুল ছাত্তার, রামনগরের দোস্তর আলী ও স্থানীয় দোকানদার আশরাফুল ইসলাম জানান, শাহ আলম অনেক দিন ধরেই এই কলেজে চাকরী করেছেন। আমরা তাকে কলেজে এসে কাজ করতে দেখেছি। এএ্যান্ডজে কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র তুর্কি বলেন, আমি শাহ আলমকে চেয়ার টেবিলে বসে থাকতে দেখেছি।

বিষয়টি নিয়ে অধ্যক্ষ মকলেছুর রহমান পিন্টু বলেন, শাহ আলম বিধি মোতাবেক নিয়োগ প্রাপ্ত কর্মচারী নন। সাময়িক ভাবে কেও নিয়োগ দিলেই তো সে আর স্টাফ হয়ে যায় না। তিনি বলেন এ নিয়ে আদালতে মামলা হয়েছে। আমরা যথারীতি জবাব দেব।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here