চুয়াডাঙ্গাঃ

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় সাত বছরের এক শিশুকে নিপীড়নের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। নিহত শিশুর নাম সুমাইয়া।

শনিবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার পারকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদ মাঠের একটি শিমবাগান থেকে ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত সুমাইয়া পারকৃষ্ণপুর গ্রামের কাঠুরে নাসির উদ্দিনের মেয়ে এবং ছয়ঘরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুর ১২টার দিকে সুমাইয়া স্কুল থেকে বাড়ি ফেরে। এর পর পোশাক পাল্টে খেলার জন্য সে বাড়ি থেকে বের হয়।

বিকাল পর্যন্ত তার দেখা না মেলায় বাড়ির লোকজন তাকে খুঁজতে বের হয়।

একপর্যায়ে বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা, সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত নামলেও সুমাইয়াকে পাওয়া যায়নি। পরে রাত ৮টার দিকে গ্রামসহ আশপাশে এলাকায় মাইকিং করা হয়।

মাইকিং করেও তার হদিস মেলেনি। রাত ৯টার দিকে গ্রামবাসী দলবেঁধে লাইট হাতে মাঠঘাটে খোঁজা শুরু করে।

রাত ১১টার দিকে গ্রামের ইউনিয়ন পরিষদ মাঠের আইয়ুব আলীর শিমবাগানে সুমাইয়ার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে গ্রামবাসী চমকে ওঠে।

এ সময় স্বজনদের আহাজারিতে মাঠের বাতাস ভারী হয়ে ওঠে।

রাত সাড়ে ১১টার দিকে সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে সুমাইয়ার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্ত ও ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য আজ রোববার মরদেহ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে নেয়া হবে বলে পুলিশ জানায়।

দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি সুকুমার বিশ্বাস বলেন, নিহত শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত ও ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য আজ রোববার মরদেহ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে নেয়া হবে।

তবে ধারণা করা হচ্ছে, ধর্ষণ শেষে শিশু সুমাইয়াকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। শিগগিরই অপরাধী পুলিশের জালে ধরা পড়বে।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here