ঢাকাঃ

দেশের প্রায় অর্ধেক অঞ্চলের ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। যেসব অঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ বইছে না, সেসব অঞ্চলেও তাপমাত্রা কম থাকায় রয়েছে তীব্র শীত। এতে নিম্ন আয়ের মানুষসহ নানা শ্রেণি-পেশার ও বয়স্ক মানুষরা পড়েছেন নানা ভোগান্তিতে।

এদিকে আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, চলমান এ শৈত্যপ্রবাহ আরও তিনদিন অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া আবহাওয়াবিদদের মধ্যে কেউ কেউ বলছেন, ১/২ দিন পর থেকে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে।

তবে এতে আশান্বিত হওয়ার আপাতত তেমন কিছু নেই। কারণ, ২ থেকে ৩ জানুয়ারির মধ্যে আবারও হালকা বৃষ্টি হতে পারে। ফলে তাপমাত্রা কমে ফের শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে।

রোববার (২৯ ডিসেম্বর) আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘তিনদিন বলা হলেও চলমান শৈত্যপ্রবাহ আর ১ থেকে ২ দিন থাকতে পারে। এরপর তাপমাত্রা আবার বেড়ে যাবে। তবে ২ থেকে ৩ জানুয়ারি বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টি হলেও হালকা হতে পারে। তখন আবার তাপমাত্রা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। আবার শৈত্যপ্রবাহ বইতে পারে।’

আবহাওয়া অফিসের তথ্যানুযায়ী রোববার দেশের ৪৩টি অঞ্চলের মধ্যে ১৮টি অঞ্চলের ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে ৫টি অঞ্চলে মাঝারি ধরনের (৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা) এবং ১৩টি অঞ্চলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ (৮ থেকে ১০ ডিগ্রি) বয়ে যাচ্ছে। এ শৈত্যপ্রবাহ আগামী ৩ দিন অব্যাহত থাকতে পারে।

মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়া অঞ্চলগুলোর মধ্যে তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন ৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি, দিনাজপুরে ৬ দশমিক ৯ ডিগ্রি, শ্রীমঙ্গলে ৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি, ডিমলায় ৭ দশমিক ২ ডিগ্রি ও রাজারহাটে ৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে।

মৃদ্যু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়া অঞ্চলগুলোর মধ্যে রাজশাহীতে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি, ঈশ্বরদীতে ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি, বগুড়ায় ১০ ডিগ্রি, বদলগাছীতে ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি, তাড়াশে ১০ ডিগ্রি, রংপুরে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি, সৈয়দপুরে ৮ দশমিক ২ ডিগ্রি, চুয়াডাঙ্গায় ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি, কুমারখালীতে ১০ ডিগ্রি, টাঙ্গাইলে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি, ময়মনসিংহে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি এবং নেত্রকোনায় ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে।

এছাড়া ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি এবং সর্বোচ্চ ২০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here