চুয়াডাঙ্গাঃ

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায় আবির হুসাইন (১১) নামে এক মাদ্রাসাছাত্রের গলাকাটা দেহ উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে।

স্থানীয়রা পদ্মা সেতুর ‘মাথা কাটা’ ও ‘ছেলেধরা’ গুজবের সঙ্গে এর যোগসূত্রতা রয়েছে ধারণা করে আতঙ্ক প্রকাশ করছেন। বুধবার (২৪ জুলাই) সকালে উপজেলার কয়রাডাঙ্গা গ্রামের একটি আমবাগান থেকে আবিরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত আবির আলমডাঙ্গা উপজেলার কয়রাডাঙ্গা গ্রামের নুরানি হাফেজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র ছিল।

এ ঘটনায় ওই মাদ্রাসাতেও আতঙ্ক বিরাজ করছে বলে জানিয়েছেন এর প্রধান মুহতামিম মুফতি মোহাম্মদ আবু হানিফ।

ইতিমধ্যে মাদ্রাসার ৭১ জন ছাত্রকে তাদের অভিভাবকরা নিয়ে চলে গেছেন বলে জানান তিনি। এদিকে নিহতের কাটা মাথাটি এখনও খুঁজে না পাওয়া গেলেও এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করতে পেরেছে পুলিশ।

পুলিশ গুরুত্বের সঙ্গে বিষয়টি তদন্ত করছে জানিয়ে চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার (এসপি) মাহবুবুর রহমান বলেন, ময়নাতদন্তে বলাৎকারের প্রমাণ পাওয়া গেছে। খুনি এ বিকৃত কাণ্ডটি ঘটানোর পর ভীত ও আতঙ্কিত হয়ে আবিরকে হত্যা করে বলে ধারণা করছি। পরে পদ্মা সেতুর গুজব কাজে লাগাতে মাথা কেটে ঘটনা ভিন্ন দিকে প্রবাহের চেষ্টা করেছে খুনি।

উল্লেখ্য, নিহত ছাত্র আবির হোসেন ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার খালকুলা গ্রামের প্রবাসী মোহাম্মদ আলীর ছেলে। মাস ছয়েক আগে কয়রাডাঙ্গা গ্রামের নুরানি হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানায় আবির হোসেন ভর্তি হয়। এখানকার এতিমখানায় থাকত সে।

মাদ্রাসার প্রধান মুহতামিম মুফতি মোহাম্মদ আবু হানিফ জানান, মঙ্গলবার এশার নামাজের সময় ওজু করতে বেরিয়ে ছেলেটি আর মাদ্রাসার কক্ষে ফেরেনি।

রাতেই পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়। বুধবার সকালে মাদ্রাসার নিকটবর্তী ইটভাটার পাশে তার মাথাবিহীন লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়া হয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here