ঝিনাইদহঃ

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামের হতদরিদ্র পরিবারের মেধাবী সন্তান সোহেল রানা। ছোটবেলা থেকেই অত্যন্ত মেধাবী সোহেলের পড়ালেখার খরচ জোগাতে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে আসছেন তার হতদরিদ্র বাবা।

তিন বেলা খাবার না জুটলেও দৃঢ়প্রত্যয়ে সব কষ্ট জয় করে এগিয়ে গেছেন। অথচ বিশ্ববিদ্যালয় পড়ূয়া এ শিক্ষার্থীর কিডনি রোগ তার পরিবারে নিয়ে এসেছে ঘোর অমানিশা। তার দুটি কিডনিই নষ্ট। চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন প্রায় ১৫ লাখ টাকা। ছেলেকে বাঁচাতে তাই সমাজের বিত্তবানদের কাছে সহায়তা চেয়েছে তার পরিবার।

২০১৩ সালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হয় সোহেল। অনার্স তৃতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত অবস্থায় তার দেহে ধরা পড়ে Chronic Kidny Deesease (CKD)  রোগ। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সহপাঠীদের সহযোগিতায় দেশে ও ভারতে তার চিকিৎসা করানো হয়। কলকাতার অ্যাপোলো হাসপাতালের চিকিৎসক এম কে গোয়েঙ্কা দ্রুত তার কিডনি সংযোজনের পরামর্শ দেন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন ও কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মেজবাহ উদ্দীন নোমানও সোহেলের কিডনি প্রতিস্থাপন করতে বলেছেন। এ জন্য প্রয়োজন  প্রায় ১৫ লাখ টাকা। তার দরিদ্র বাবার পক্ষে এ ব্যয় বহন করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। সামান্য কৃষি জমি  বিক্রি করে তার চিকিৎসা চালানো হচ্ছে।

সোহেলের বাবা জমির মালিথার বলেন, অনেক কষ্ট করে ছেলেকে পড়ালেখা করাচ্ছিলেন। আশা ছিল, শিক্ষিত হয়ে পরিবারের সব অভাব ঘুচিয়ে দেবে। এখন সব সম্বল ব্যয় করে ছেলের চিকিৎসা করাচ্ছেন। আর পারছেন না বলে অঝরে কাঁদতে থাকেন তিনি। কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেন, ‘সমাজে অনেক দানশীল মানুষ আছেন। দয়া করে আমার ছেলেকে বাঁচান। শুনেছি আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন দয়ালু ও মমতাময়ী মা, আমি তার কাছে আমার ছেলেকে বাঁচাতে সহযোগিতা চাই।’

সোহেলের চিকিৎসার জন্য সহযোগিতা পাঠানো ঠিকানা, বিকাশ :০১৭৪৩-৭০০৫৪৭ (ব্যক্তিগত), সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর ২৪০৫৯০১০১২৯৩২, সোনালী ব্যাংক লি., হরিণাকুণ্ডু শাখা, ঝিনাইদহ।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here