ঝিনাইদহঃ

বুধবার গভীর রাতে গোপনীয়ভাবে বাল্য বিয়ের আয়োজন চলছিল। কিন্তু গোপনীয়তা ভেঙ্গে সেখানে হাজির হন সহকারি কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জাকির হোসেন। বর ও কনের বয়স না হওয়ায় ভেঙ্গে দেয়া হয় বাল্য বিয়েটি।

এ সময় বিয়ে পড়ানোর অপরাধে ইমামকে ২ বছরের কারাদন্ড ও বরের বয়স না হওয়ায় তার পিতা কে ১ বছরের কারাদন্ড দেয় ভ্রাম্যমান আদালত। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার দিনগত গভীর রাতে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার কাশিপুর গ্রামে।

ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানাগেছে, কালীগঞ্জ উপজেলার কাশিপুর গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে তারেকুজ্জামানের সাথে একই গ্রামের জিয়াউল ইসলামের মেয়ের গোপনে বাল্য বিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। এমন খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ নিয়ে হাজির হন কালীগঞ্জ উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেন।

রাতে সেখানেই ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে বাল্য বিয়ের আয়োজন করায় বরের পিতা ইসমাইল হোসেন ১ বছরের কারাদন্ড ও বিয়ে পড়ানোর অপরাধে স্থানীয় মসজিদের ইমাম মিলন হোসেনকে ২ বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়।

ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক মোঃ জাকির হোসেন জানান, গভীর রাতে গোপনে বাল্য বিয়ে দেওয়ার অপরাধে বাল্য বিবাহ নিরোধ আইনের আওতায় বরের পিতা কে ১ বছরের এবং বিয়ে পড়ানোর অপরাধে ইমামকে ২ বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here