ঝিনাইদহঃ

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ত্রিবেনী ইউনিয়নে ‘জমি আছে ঘর নাই’ প্রকল্পের আওতায় ঘর নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একজন ইউপি মেম্বর দরিদ্র পরিবারের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

দেড় বছর আগে ত্রিবেনী ইউনিয়নের মেম্বর নাসির উদ্দীন ঘর বানিয়ে দেওয়ার নাম করে প্রায় অর্ধশত মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। তিনি ত্রিবেনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের আস্থাভাজন হওয়ায় কেও টাকা চাইতে সাহস পাচ্ছে না।

ঝিনাইদহের একদল সাংবাদিক ত্রিবেনী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ত্রিবেনী গ্রামের ঋষি পাড়ায় যান। সেখানে গিয়ে দেখা যায় ৩০জন হতদরিদ্র ব্যক্তির নিকট থেকে সরকারী বরাদ্ধের ঘর করে দেওয়ার কথা বলে প্রত্যেকের কাছ থেকে ১৫ হাজার করে টাকা করে নিয়েছেন স্থানীয় মেম্বর নাসির।

এছাড়া বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা এমনকি চৌকিদারের চাকুরী দেওয়ার নামে ৪ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। ত্রিবেনী গ্রামের বেনুপদ দাসের ছেলে বিপুল দাস, কুমার দাসের ছেলে বলাই কুমার দাস, কুমারেশ দাসের ছেলে পরিতোষ কুমার দাস, সুবল দাসের ছেলে নিত্য কুমার দাস, সুবল দাসের ছেলে বিঞ্চু কুমার দাস, ও শম্ভু দাসের ছেলে স্বপন দাসের কাছ থেকে ১৪৫ হাজার টাকা করে নেওয়া হয়েছে এছাড়া সিরাজুলের ছেলে শাহিনুরের কাছ থেকে ১২ হাজার টাকা, রমজান আলীর মেয়ে দিপালি খাতুনের কাছ তেকে ১৫ হাজার টাকা ও আব্দুল বারী মন্ডলের কাছ থেকে ঘর এবং বয়স্ক ভাতা দেওয়ার কথা বলে ২১ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম খাঁর কাছের লোক হিসেবে পরিচিত ত্রিবেনী গ্রামের আফজাল মন্ডলের ছেলে নাসির উদ্দীন ও সিরামপুর গ্রামের এক মহিলা মেম্বরের ছেলে নাসির।

এছাড়া চেয়ারম্যানের ভাতিজা নাজমুল প্রতিবন্ধী ইমারতের ছেলে আসিকের প্রতিবন্ধী কার্ড করে দেওয়ার নাম করে নিয়েছে ২ হাজার ৯শ টাকা। বিধবা ভাতার কার্ড করে দেবে বলে চেয়ারম্যানের আরেক সহযোগী জামিলা খাতুনের নিকট থেকে ৪ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। একই গ্রামের মৃত নাসির উদ্দীনের বিধবা স্ত্রীর নিকট থেকে বিধবা ভাতার কার্ড করে দেবে বলে ৫ হাজার টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ।

টাকা নেওয়ার বিষয়ে ত্রিবেনী গ্রামের নাসির উদ্দীনের কাছে জানতে চাইলে তিনি উত্তর না দিয়ে চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন।

ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম খাঁ বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমার নিকট কেউ অভিযোগ করেনি। নাসিরদের আমি চিনি। তাদের সাথে আমার সম্পর্ক আছে। আপনাদের সাথে দেখা হলে বিষয়টি বিস্তারিত জানাবো।

শৈলকুপার ইউএনও সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। যদি কেও এমন গর্হিত কাজ করে থাকে তবে আমি একজন অফিসার দিয়ে তদন্ত করে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করবো। তিনি বলেন বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা এমনকি চৌকিদারের চাকুরী দেওয়ার নামে কেও টাকা নিয়ে পার পাবে না।

ভিডিও দেখুন…

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here