ফাইল ফটো

ঝিনাইদহঃ

ঝিনাইদহের শৈলকুপার গাবলা গ্রামে ষষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে (১২) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে বাড়ির পাশ্ববর্তী একটি ধানক্ষেত থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ দিকে ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছে অভিযুক্ত ধর্ষক রিফাত (১৭)। সে ওই গ্রামের রুহুল মোল্লার ছেলে।

ভিকটিম ওই শিক্ষার্থী বলেন, ‘আব্বুকে ডাকতে পাশের বাড়িতে যাচ্ছিলাম। সে সময় আমাদের গ্রামের রিফাতসহ তিনজন আমার মুখ বেঁধে পাশের মাঠে নিয়ে খারাপ কাজ করে। মুখ বাঁধা থাকায় রিফাত ছাড়া বাকি দু-জনকে চিনতে পারিনি।’

মেয়েটির বাবা জানান, রাতে বাড়িতে গিয়ে দেখি মেয়ে ঘরে নেই। এরপর সবাই মিলে খুঁজতে থাকি। পরে বাড়ির পাশের একটি কলাক্ষেতে মেয়েটির কাপড় পড়ে থাকতে দেখে গ্রামের অন্যান্য লোকদের নিয়ে অনেক খোঁজা-খুঁজির পর ধানক্ষেতে মুখ বাঁধা অবস্থায় তাকে পাই। এরপর সবাই মিলে তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করি। যারা আমার মেয়ের এত বড় ক্ষতি করল আমরা তাদের কঠোর শাস্তি চাই।

ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. নাইম সিদ্দিকী জানান, মেয়েটি ধর্ষণ কেস নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তার আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। অন্যান্য পরীক্ষা শেষে বলা যাবে প্রকৃতই সে ধর্ষণের শিকার কিনা এবং তার কতটুকু ক্ষতি হয়েছে। 

এ দিকে শৈলকুপা থানার ওসি তদন্ত মহসিন হোসেন জানান, ভাটই মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় আমরা ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছি। ধর্ষক রিফাতসহ তার সহযোগীরা পলাতক রয়েছে। চেষ্টা করছি তাদের আটক করতে। তবে এ ঘটনায় এখনো থানায় কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here