ঝিনাইদহঃ

ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ভালাইপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেনীর ছাত্ররা সাবলিল ভাবে ইংরেজি পড়তে পারে না। বিদ্যালয়টি পরিদর্শনকালে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শেখ মোঃ আক্তারুজ্জামানের নজরে আসে। অফিসে ফিরে তিনি ৩১ জুলাই ওই প্রাইমারি স্কুলের ইংরেজি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক নার্গিস সুলতানা ছবিকে সাময়িক বরখাস্তের চিঠি দেন।

বৃহস্পতিবার থেকে এই আদেশ কার্যকর হয়েছে। কিন্তু জেলা ঝিনাইদহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের সেই চিঠিতেই রয়েছে ২২টি ভুল।

এই নিয়ে ঝিনাইদহের শিক্ষক মহলে একদিকে যেমন চলছে হাসাহাসি, অন্যদিকে শিক্ষা কর্মকর্তার অফিসিয়াল চিঠি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর নানা মন্তব্যে সরগরম হয়ে উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। অনেক শিক্ষক বরখাস্ত করার চিঠি নিজের টাইমলাইনে পোষ্ট করে লিখেছেন“বিচারপতির বিচার কে করবেন?”। কামরুল হাসান নামে এক শিক্ষক লিখেছেন “যে ইংরেজির জন্য শিক্ষককে বরখাস্ত করা হলো, সেই ইংরেজির একটি শব্দের বানান বরখাস্তকারী কর্মকর্তাও তার চিঠিতে ভুল লিখেছেন। এমনকি চিঠিতে অনেক বাংলা শব্দের বানান ভুল আছে। বানান শুদ্ধ না করে চিঠি স্বাক্ষর কি কর্তব্য অবহেলা নয়? এজন্য ওই প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কী ধরনের শাস্তিত হওয়া উচিত? জেলা শিক্ষা অফিসারের প্রেরিত ১১০৭ নং স্মারকে পাঠানো চিঠিতে দেখা গেছে ইংরেজিতে Cahpter বানানটি এ ভাবে লেখা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে বানানটি হবে Chapter ।

চিঠিতে এরূপ বানান এরুপ, সত্ত্বেও বানান সত্তেও, ইংরেজি বানান ইংরেজী, আপিল বানান আপীল, অসদাচরণ বানান অসাদাচরণ, শ্রেণি বানান শ্রেণী, বরখাস্তকালীন বানান বরখাস্তকালনীনসহ ২২টি বানান ভুল লেখা হয়েছে। জেলা শিক্ষা অফিসার শেখ মোঃ আক্তারুজ্জামান ঈযধঢ়ঃবৎ বানানটিই ভুল লিখেছেন। অথচ ইংরেজি বিষয় নিয়েই ওই শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়েছে। চিঠি বিশ্লেষন করে দেখা গেছে তাতে মারাত্মক ভুল আছে ৫টি। এছাড়া ব্যাকরণগত ও মাত্রাগত ভুল রয়েছে ১৭টি।

বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শেখ মোঃ আক্তারুজ্জামান চিঠিতে ভুলের কথা স্বীকার করে বলেন, ব্যাস্ততার কারণে আমি ভুলে ভরা চিঠিতে সাক্ষর করেছিলাম। আজ (১ আগষ্ট) বৃহস্পতিবার সেটি সংশোধন করে স্মারক নাস্বার ঠিক রেখে নির্ভুল চিঠি পাঠানো হয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here