মেজবা উদ্দিন পলাশ, কুষ্টিয়া:

ডেঙ্গু জ্বরে আতঙ্কে কুষ্টিয়ায় মশারির বাজার হঠাৎ করেই চাঙ্গা। বেড়ে গেছে বাজারে মশারির চাহিদা। এতে মশারির বাজার এখন চাঙ্গা। প্রায় প্রতিমুহুর্তে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন ছুটছেন কুষ্টিয়ার শহরের বড়বাজারের মশারির দোকানগুলোতে। চলছে তুমুল বেচা-কেনা। ৩শত টাকা দামের মশারি বিক্রয় হচ্ছে ৫শত থেকে ৬শত টাকায়। দোকানিরা সুযোগ পেয়ে বেশি মূল্য নিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন ক্রেতারা।

অন্য সময় মশার কয়েলের উপর আস্থা থাকলেও এখন আর নেই সেই আস্থা। তাই মশারিতেই নিরাপদ মনে করছেন অনেকেই। তবে দাম বেশি হলেও বাজারে মশারি পাওয়ায় খুশি ক্রেতারা। সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে জেলার মশারির কারখানা গুলোতে মশারি কারিগরদের যেন দম ফেলারও সময় নেই।

উল্লেখ্য,গত কয়েক দিনে ঢাকায় বেড়াতে গিয়ে ও চাকরিতে থাকাকালীন সময় ১৫ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়। তারপর ঢাকার বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি হাসপাতেলে ঘুরে চিকিৎসা না নিতে পারায় বাধ্য হয়ে তারা কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়। এখন চলছে তাদের চিকিৎসা। তবে কুষ্টিয়া থেকে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেনি বেশ কয়েকদিনে। তবে এ রেকর্ড ভেঙ্গে গেছে আজ রোববার সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে আসতে থাকে শিশুসহ বয়স বৃদ্ধরা। দিন দিন বেড়েই চলেছে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। কুষ্টিয়া জেলার গ্রাম গুলোতেও ছড়িয়ে পড়েছে ডেঙ্গু মশা। আর ডেঙ্গু রোগ থেকে রক্ষা পেতে মশারির চাহিদা বেড়ে গেছে। আর এর সুযোগেই মশারির দাম বেশি নিচ্ছেন বিক্রেতারা।

কুষ্টিয়া শহরের বড়বাজার এলাকার মশারির দোকানী সেলিম,বলেন মশারির চাহিদা বেড়ে গেছে বাজারে। মশারি তৈরীর কারখানা গুলোতে দিনরাত মশারি তৈরীর কারিগররা কাজ করে চলেছে। তাদের কাছ থেকে আমাদের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। তাই মশারির একটু দাম বেশি। তবে আগের চেয়ে মশারির চাহিদা বেড়েছে মানুষের মধ্যে।

মশারি কিনতে আসা সাদিয়া খাঁন তনু বলেন, এর আগে মশারি লাগতো না। জেলায় মশা বাহিত রোগ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। তাই পরিবারের মানুষ গুলোকে ডেঙ্গু রোগ থেকে রক্ষা পেতে বাজারে মশারি কিনতে এসেছি। এসে দেখি ৩শত টাকা দামের মশারি বিক্রয় হচ্ছে ৫শত থেকে ৬শত টাকায়। দোকানিরা সুযোগ পেয়ে বেশি মূল্য নিচ্ছেন বলে জানান তিনি।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার তাপস কুমার জানান, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তদের ১৫ জনরে মধ্যে চুয়াডাঙ্গা, রাজবাড়ি, ঝিনাইদহ জেলার রোগী ১১ জনের বাড়ি কুষ্টিয়া পৌরসভা ও কুষ্টিয়া জেলার বাইরে। তারা গত দুইদিন হলো ঢাকা থেকে এসে এখানে ভর্তি হয়েছে এবং তাদের চিকিৎসা চলছে। আজ রোববার সকাল থেকে এই ডেঙ্গু রোগ কুষ্টিয়ার গ্রাম গুলোতেও ছড়িয়ে পড়েছে। সবাইকে ডেঙ্গু মশা থেকে রক্ষ পেতে সর্তক থাকার আহবান জানান তিনি।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here