সবুজদেশ ডেস্কঃ

দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তায়নের বিরুদ্ধে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তথা সরকারের সাম্প্রতিক ‘অভিযান’ এখন সর্বমহলে আলোচনার বিষয়। সরকারের নীতিনির্ধারকদের কেউ কেউ একে শুদ্ধি অভিযান বলে দাবি করছেন। এসব অভিযানে একে একে বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর অনেক তথ্য। দুর্নীতির বিরুদ্ধে এ অভিযান শুধু বিভাগীয় শহরে না করে তৃণমূল পর্যায়ে করারও দাবি জানিয়েছে জনগণ।

এদিকে দুর্নীতিবাজদের বিষয়ে ফেসবুকে লিখেছেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন। তিনি দুর্নীতিবাজদের বের করার পাঁচটি উপায় জানিয়েছেন। নিচে তার স্ট্যাটাসটি সবুজদেশ এর পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-

১। বর্তমান এমপিরা তাদের জীবনের ১ম নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনকে যে অর্থের হিসেব দিয়েছিল, সেই হিসাবের সাথে বর্তমান হিসাব মেলানো হোক। এই হিসাবের সাথে বর্তমান হিসাব মিলালে হাজার কোটি টাকার তারতম্য পাবেন। এই তারতম্যই দুর্নীতি।

২। একটি থানার পাতি নেতা থেকে শুরু করে ঐ থানার সকল নেতার ১০ বছর আগের অর্থের হিসাব ও বর্তমান হিসাব মেলানো হোক। আমার জানামতে ১০ বছর আগে যার বাড়িতে টিনের চাল ছিলো, সে এখন বিলাসবহুল বাড়ির মালিক। আগে ভটভট করা হিরো মোটরসাইকেলে চড়লেও এখন কোটি টাকা দামের গাড়িতে চড়ে। এদের অর্থের উৎসের খোঁজ নিন। দুর্নীতিবাজ বের করতে খুব বেশি কষ্ট হবেনা।

৩। ছাত্ররাজনীতির সাথে যারা যুক্ত ছিলো বা আছে, তাদের কোটি টাকার উৎস কি? ছাত্র রাজনীতিতে ঢোকার ১ম দিন থেকে শেষ দিন পর্যন্ত কতো টাকার ব্যাংক ব্যালেন্স আছে, খোঁজ নিন। একজন ছাত্রনেতা কি করে ব্যাংকের শেয়ারের মালিক হয়, খোঁজ নিন। কোন পথে আয় করে বিলাসী জীবনযাপন করে, খোঁজ নিন। কোটি টাকার বাড়ি কিভাবে করে, খোঁজ নিন । এগুলো বের করা খুব সহজ, চেষ্টা করলে সহজেই দুর্নীতিবাজ ধরতে পারবেন।

৪। সরকারি অফিসের ছোট কর্মচারী (ক্লার্ক, পিয়ন) থেকে শুরু করে বড় কর্মকর্তাদের চাকরির জীবনের ১ম থেকে শুরু করে বর্তমান পর্যন্ত আর্থিক হিসাবের খোঁজ নিন। তাদের শত কোটি টাকার উৎস কি? এসব বের করা খুব সহজ জিনিস।

৫। দুর্নীতিবাজ বের করার করার পর এদেরকে কঠোর শাস্তি প্রদান করুন। আর তাদের লুটপাট করা টাকা রাষ্ট্রীয়ভাবে গরীবদেরকে মধ্যে বিতরণ করুন, অথবা এই টাকা দিয়ে বড় বড় কোম্পানি নির্মাণ করে সেখানে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করুন, তাহলে দেশ উন্নত হতে সময় লাগবে না। এই টাকা গরীবের টাকা, দেশের টাকা। তারা মানুষের হক মেরে নিজের পকেট ভরেছে, তাই এই টাকা গরীবকে নিঃসন্দেহে দেওয়া যায়।

এটা গরীবের হক………… পারবেন কাজগুলো করতে?

যদি পারেন, তাহলে দেশ ইউরোপ আমেরিকা নয়, তাদের থেকে বেশি উন্নত হবে, ইনশাআল্লাহ।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here