রংপুর প্রতিনিধিঃ
আখিরা নদীর ভাঙ্গনে বিলীন হতে চলেছে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বালুয়া হাট উচ্চ বিদ্যালয়টি। বিদ্যালয় ভবনের একেবারে কাছে চলে এসেছে নদী। এরই মধ্যে ভবন সংলগ্ন বেশ কিছু জায়গা নদী গর্ভে চলে গেছে। এনিয়ে শিক্ষক, অভিভাবক ও স্থানীয়রা আতংকের মধ্যে রয়েছে। তারা দ্রুত ভাঙ্গন ঠেকানোর দাবি জানিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আখিরা নদী ঘেষেই ১৯৯৬ সালে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের বালুয়াহাট বন্দরে বালুয়া উচ্চ বিদ্যালয় নামের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠে। এক সময় নদী অনেকটা দূরে থাকলেও ভাঙনের কারনে এখন বিদ্যালয়ের একেবারেই কাছে। এরই মধ্যে নদীর পানি এই ভবন ছুঁই ছুঁই করছে। ওই বিদ্যালয়ের মাঠের একটি অংশ নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে আগেই। যে কোন সময় ভাঙতে পারে মূল ভবনও। অথচ এ নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড, উপজেলা পরিষদ ও শিক্ষা বিভাগের কোনো মাথা ব্যথা নেই। তাদের বিষয়টি জানানো হলেও বরাদ্দ না থাকার অজুহাত দেখানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, শিক্ষার আলো ছড়াতে বালুয়া উচ্চ বিদ্যালয় ভূমিকা রেখেছে শুরু থেকেই। অনগ্রসর শিশুদের শিক্ষা দানের লক্ষ্যে ১৯৯৬ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা লাভ করেন। বর্তমানে আড়াই শতাধিক শিক্ষার্থী অধ্যায়ন করছে। বিগত বছর জেএসসি পরীক্ষায় ৫২ জন অংশগ্রহণ করে সকলেই কৃতকার্য হয়েছিল। এ প্লাসও পেয়েছে ৫ জন। আর এসএসসিতে ৩১ জন অংশগ্রহণ করে কৃতকার্য হয় ৩০ জন। তাই ঐতিহ্যবাহী এই বিদ্যালয়টির ভবন রক্ষায় জরুরী উদ্যাগ গ্রহণের দাবি জানান স্থানীয় গ্রামবাসি, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান সরকার জানান, বিদ্যালয় ভবন নদী গর্ভে বিলীনের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং উপজেলা চেয়ারম্যানকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন। তবে সেটা কবে হবে তা বলেন নি।
এ ব্যাপারে পীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাবেক এমপি নুর মোহাম্মদ মন্ডলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমাকে অবগত করেছেন, তবে বরাদ্দ আসলে খুব শীঘ্রই প্রতিষ্ঠানটি সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে।