সবুজদেশ ডেস্কঃ

বিয়ে করলেন হালের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী হাবিব ওয়াহিদ। পাত্রীর নাম আফসানা চৌধুরী শিফা ইডেন মহিলা কলেজের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী। এটি হাবিবের তৃতীয় বিয়ে। মঙ্গলবার বিয়ের বিষয়টি ফেসবুক পেজে জানান হাবিব নিজেই।

হাবিব তার ফেসবকু পোস্টে লেখেন, আমার ব্যক্তিগত জীবনে পরিবর্তন এসেছে। সম্প্রতি আমি বিয়ে করেছি। আমরা সবাই জানি যে, বিশ্বব্যাপী এখন ভয়াবহ করোনা দুর্যোগ চলছে। খুব বাজে সময় যাচ্ছে। যে কারণে, কোনো আয়োজন ছাড়াই বিয়েটা হয়েছে।  আল্লাহ মঙ্গল করুন।

তবে কবে তারা বিয়ে করেছেন বা দু’জনার পরিচয় কীভাবে- এ বিষয়ে এখনো নিরব রয়েছেন এই সংগীতশিল্পী।

এ বিষয়ে জানতে হাবিবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি গণমাধ্যমকে জানান, আফসানা চৌধুরী শিফার সঙ্গে তার পরিচয় প্রায় ৮ মাস আগে। আর তারা বিয়ে করেছেন তিন মাস আগে। তবে বিয়ের তারিখ প্রকাশ করতে চান না। 

তিনি আরও জানান, শিফার পরিবার ঢাকায় থাকলেও তার গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায়। হাবিবের গ্রামের বাড়ির পাশের উপজেলা দোহারে।

বিষয়টি একেবারেই ব্যক্তিগত জানিয়ে হাবিব বলেন, আমি এই বিষয়গুলো মিডিয়ায় শেয়ার করতে চাই না। শিফাও তেমনটা চেয়েছে। আবার এটাকে লুকিয়ে রাখারও কিছু নেই। সংসার তো সত্য ও সুন্দর বিষয়। সেই ভাবনা থেকেই ফেসবুকে বিয়ের খবরটি জানালাম। কিন্তু এটা নিয়ে বাড়াবাড়ি হোক, সেটি আমরা চাই না।

হাবিব আরও বলেন, অনেকটা হুট করেই আমাদের পরিচয়, ঢাকাতেই। পরিচয়ের কিছুদিন পর আমরা অনুভব করি সংসার পাতার কথা। এরপর জানতে পারি আমরা দু’জন একই অঞ্চলের মানুষ! যদিও প্রেম বা বিয়ের পেছনে এটা কোনো কাজে আসেনি। এরপর বিষয়টি দুই পরিবারকে জানানো হয়। পারিবারিকভাবেই আমরা বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

একেবারে ঘরোয়া আয়োজনে তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে জানিয়ে হাবিব বলেন, আগেও বলেছি, বিয়ে নিয়ে কোনো পরিকল্পনা ছিল না আমার। জন্ম-মৃত্যু ও বিয়ে তো উপরওয়ালা থেকে নির্ধারিত। তা না হলে, শিফার সঙ্গে আমার পরিচয়ই হতো না। আমার একমাত্র সন্তান আলীম ওয়াহিদও বড় হচ্ছে। ওর সামাজিক নিরাপত্তার বিষয়টাও দেখতে হবে। এসব মিলিয়ে বিয়ের বিষয়টি নিয়ে আমি এ পর্যন্ত কোথাও কমেন্ট করিনি, করার ইচ্ছেও নেই। যেটুকু জানানোর, তা ফেসবুকে জানিয়েছি।

আফসানা চৌধুরী শিফা মডেলিংয়ের সঙ্গে যুক্ত আছেন। আপনার সঙ্গে কি তার পরিচয় কোনো গানের শুটিংয়ে?

শিফা আমার কোনো গানের মডেল হয়নি জানিয়ে হাবিব বলেন, আমাদের পরিচয় একেবারেই চলতি পথে, হুট করে। মিডিয়ার সঙ্গে ওর সংযোগ একেবারেই অল্প। যতটুকু আছে তা শুধুই শখের বশে।’

সবশেষে হাবিব তার নতুন জীবনের জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে নেতিবাচক কোনো মন্তব্য বা সংবাদ না করার জন্যও সবাইকে অনুরোধ করেছেন এই সংগীতশিল্পী।

ঢাকার অন্যতম পপ আইকন ফেরদৌস ওয়াহিদের ছেলে হাবিব। তিনি লন্ডনে শব্দ প্রকৌশলে অধ্যয়ন করেন। প্রথম লোকসংগীতের রিমিক্স অ্যালবাম ‘কৃষ্ণ’ হাবিবকে জনপ্রিয়তা এনে দেয়। লন্ডনে ছাত্রাবস্থায় তার সংগীতায়োজনে অ্যালবামটি প্রকাশ হয়।

প্রথম দিকে অন্যদের জন্য রিমিক্স ও মৌলিক গান করলেও পরবর্তীতে নিজেই পরিপূর্ণ গায়ক হিসেবে আবির্ভূত হন। তার হাত ধরে অনেক গায়ক জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। আধুনিক গানের পাশাপাশি চলচ্চিত্রেও জনপ্রিয় হাবিব ওয়াহিদ।

২০১৭ সালের ১৯ জানুয়ারি রেহানের সঙ্গে সংসার ভেঙে যায় হাবিবের। ২০১১ সালের ১২ অক্টোবর পারিবারিক পছন্দে বিয়ে করেছিলেন তারা।

এর আগে ২০০৩ সালে প্রথম বিয়ে করেন লুবায়না নামের একজনকে। প্রেমের সেই বিয়ে বিচ্ছেদ ঘটে অল্প সময়ের ব্যবধানে।  

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here