ফাইল ফটো

ময়মনসিংহঃ

নিজের কিশোরী কন্যাকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় এক আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ১৪ বছর বয়সী ওই কিশোরীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে গতকাল ৩ জানুয়ারি, শুক্রবার রাত আটটার দিকে অভিযুক্ত পিতা হারুন অর রশিদ আকন্দ তোতাকে (৩৮) গ্রেপ্তার করে ফুলবাড়িয়া থানা পুলিশ। 

হারুন অর রশিদ আকন্দ তোতা ১২নং আছিম-পাটুলী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলে জানা গেছে।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ফুলবাড়িয়া উপজেলার আছিম-পাটুলী গ্রামের মৃত আ. জলিল আকন্দের পুত্র হারুন অর রশিদ দেড় যুগ আগে বিয়ে করেন জঙ্গলবাড়ি গ্রামে। এরপর আবার দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন তোতা। সেই স্ত্রীও তাকে তালাক দিয়ে চলে যান।

কয়েকদিন আগে প্রথম স্ত্রীর ঘরের কিশোরী মেয়েকে ফোন করে নিজের ‘অসুস্থতার’ খবর জানান তোতা। সেই খবর পেয়ে নানীর বাড়ি থেকে ২৬ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার অসুস্থ পিতাকে দেখতে আসে মেয়েটি। আসার পর থেকে সে তার দাদীর ঘরেই ঘুমাচ্ছিল।

গত ৩০ ডিসেম্বর, সোমবার রাতে দাদীর ঘর থেকে মেয়েকে তার ঘরে ঘুমাতে বলে তোতা। সে রাতে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে ঘটনাটি কাউকে বললে মেয়েকে হত্যার হুমকি দেয় সে। ভয়ে সেদিন ঘটনাটি কাউকে জানায়নি মেয়েটি। পরের রাতে আবারো যখন তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয় তখন মেয়েটি মোবাইলের এসএমএসে মামাকে ঘটনার বিষয়ে জানায়। 

মেয়েটির মামা এ বিষয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় ফুলবাড়িয়া থানায় অভিযোগ দেন। পরে এস আই মো. রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে পুলিশের একটি দল অভিযুক্ত লম্পট পিতা হারুন অর রশিদ আকন্দ তোতাকে গ্রেপ্তার করে মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

নির্যাতিত মেয়েটির মামা এ বিষয়ে বলেন, ‘মিথ্যা অসুস্থতার খবর দিয়ে নিজের মেয়েকে নিয়ে এসে একাধিকবার ধর্ষণের চেষ্টা করে ভন্ড পিতা। ঘটনাটি কাউকে বললে খুন করা হবে বলে হুমকিও দিয়েছে। মোবাইলে বিষয়টি আমাকে জানালে তাকে (মেয়েটি) পুলিশের সহযোগিতায় উদ্ধার করা হয়।’

ন্যক্কারজনক এ ঘটনার বিচার চেয়ে তিনি বাদী হয়ে ফুলবাড়িয়া থানায় নারী শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছেন।

ফুলবাড়িয়া থানার ওসি (তদন্ত) শেখ জহিরুল ইসলাম মুন্না এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘নিজ কন্যাকে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনায় পিতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’ আজ ৪ জানুয়ারি, শনিবার সকালে আদালতে পাঠানোর কথাও জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here