কালীগঞ্জে (ঝিনাইদহ) সংবাদদাতা ঃ
ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় অভিযুক্ত অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ ষ্টুডেন্ডস এ্যাসোসিয়েশন নামের একটি ছাত্র সংগঠন।
শনিবার (১৩ এপ্রিল-১৯ ইং) সকাল ১০টায় কালীগঞ্জ মেইন বাসষ্ট্যান্ডে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পাশে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে ছাত্রলীগ, ষ্টুডেন্ডস এ্যাসোসিয়েশন ছাত্র সংগঠন, ”নিরাপদ সড়ক চাই” সহ কয়েকটি সংগঠন অংশ নেয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, নুসারাত হত্যাকান্ডে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তি দিতে হবে। এ হত্যাকান্ডের মূলহোতা মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলাকে দৃষ্টান্তমূলক বিচারের মাধ্যমে ফাঁসি দিতে হবে।
মানববন্ধন কর্মসূচীতে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আনিসুর রহমান( মিঠু মালিথা), যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মনির হোসেন সুমন, কালীগঞ্জ স্টুডেন্টস এ্যাসোসিয়েশন এর উপদেষ্টা মাসুম হোসাইন, বিশ্বজিৎ ভৌমিক, ছাত্রলীগের অন্যতম সংগঠক মাহমুদুর রহমান সিজান, কালীগঞ্জ স্টুডেন্টস এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তফা ইবনে মাসুদ, সাধারন সম্পাদক ইয়াসিন আরাফাত তুহিন, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ ফরহাদ রহমান সহ অন্যান্যরা।
বক্তারা আরো বলেন, বাংলাদেশের নারীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, বিভিন্ন অফিস আদালতে যৌন নির্যাতনের স্বীকার হতে হয়। তিন সন্তানের জননী এমনকি শিশুদেরও যৌন নির্যাতন করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি, যৌন নির্যাতনের জন্য কঠিন আইন করা হোক। যেন নারীদের নির্যাতন করতে ভয় পায়।
বক্তারা বলেন, নুসরাত আমাদের প্রতিবাদ করতে শিখিয়েছে। সে অন্যায়ের কাছে মাথা নতো করেনি। মৃত্যুর আগেও সে দোষীদের শাস্তি চেয়েছে। তাই আমাদের সবাইকে যার যার স্থান থেকে প্রতিবাদ করতে হবে, যেন আর কোনো নারী নির্যাতনকারী রেহাই না পায়।
গত ৬ এপ্রিল সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় আলিম পরীক্ষার কেন্দ্রে মাদ্রাসার ছাদে ডেকে নিয়ে নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায় মুখোশধারীরা। পরিবারের অভিযোগ, ২৭ মার্চ মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলা তার কক্ষে ডেকে নিয়ে নুসরাতের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। এ বিষয়ে স্বজনদের দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের চাপ দিয়েও প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় নুসরাতকে আগুনে পোড়ানো হয়। আগুনে ঝলসে যাওয়া নুসরাত ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ এপ্রিল রাতে মারা যায়।