ছবিঃ বিটিভি থেকে সংগৃহীত

বার্তাকক্ষঃ

পেঁয়াজ নিয়ে অস্থিরতার কিছু নেই উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যারা সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে পেঁয়াজ মজুদ করছেন, তারাই বেকায়দায় পড়বেন। কারণ পেঁয়াজ বেশিদিন রাখলে পঁচে যায়। আবার আমরা অনেক পেঁয়াজ আমদানি করছি, তখন দামও কমে যাবে।’

মঙ্গলবার গণভবনে আজারবাইজানের বাকুতে ন্যাম সম্মেলনে অংশগ্রহণ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজ নিয়ে অস্থির হওয়ার কী আছে? এটা ছাড়াও তো রান্না করা যায়। আমাদের পরিবারে করি। তারপরও এ সমস্যা থাকবে না। কিছুদিনের মধ্যে ১০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আসছে, তার অল্পকিছু দিন পরে ৫০ হাজার হাজার মেট্রিক টন আসবে। যারা সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে পেঁয়াজ মজুদ করছেন, তারা তখন বেকায়দায় পড়বেন। কারণ পেঁয়াজ কিন্তু পঁচে যায়।  

এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের এক নেতা জেনে হোক, না জেনে হোক একটা কথা বলে ফেলেছেন। তিনি তার সংসদীয় এলাকায় একটা ক্লাবের (ক্যাসিনো) সভাপতিও। ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলেছেন। আমাদের ১৪ দলের এক নেতাও বলেছেন। তারা ছাত্রজীবন থেকেই এমন। আমরা তো একসঙ্গে রাজনীতি করেছি, জানি। ১৪ দল এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বিষয়ে আমার কোনো কথা নেই।’

তিনি বলেন, ‘আমি এতে ভয় পাই না। আমি সব সময় এক বৈরি পরিবেশে রাজনীতি করে গেছি। উজানে নাও ঠেলে ঠেলে এখানে (সরকারে) এসেছি। কাজেই কথায় কী আসে যায়? কথা বলার বলুক।’

তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে দেশ বিক্রি করে দেবে, দেশের ক্ষতি হবে, এগুলো বলতো। এখন কী প্রমাণ হলো- আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে দেশের উন্নয়ন হয়। বাংলাদেশ হারানো সম্মান ফিরে পেয়েছে। সব দেশের সরকার বাংলাদেশকে উন্নয়নের বিস্ময় হিসেবে প্রকাশ করছে।’

‘ক্রিকেটদের আন্দোলনের সঙ্গে ক্যাসিনোর সম্পৃক্ততা আনছেন কেনো?’ প্রশ্ন তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্যাসিনোর সঙ্গে সাংবাদিকরাও তো জড়িত। তাদের নাম আসলে কী করবেন?

এসময় তিনি সাংবাদিকদের অপকর্ম কথা উল্লেখ করে বলেন, একজন সম্পাদক একটি ব্যাংকের চেয়ারম্যানকে ফোন করে টাকা চেয়েছে, না দিলে তার বিরুদ্ধে লিখে তার ক্যারিয়ার শেষ করে দিবে। এমডিকে ফোন করে টাকার এমাউন্টও বলে দিয়েছে। তার রেকর্ডও আছে।

ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের পাশে থাকার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ক্রিকেটে অনেক সময় জুয়াড়িরা যোগাযোগ করে। সাকিবের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছে। নিয়মটা হলো আইসিসিকে জানানো। সে সেটা করেনি (জানায়নি)। অবশ্য, সাকিব তার ভুলটা বুঝতে পেরেছে। এ বিষয়ে আমাদের বিসিবি বলেছে, তারা সাকিবের পাশে থাকবে। আপনারাও জানেন, আইসিসি কোনো ব্যবস্থা নিলে আমাদের কিছু করার থাকে না। তারপরও আমাদের বিসিবি তার সঙ্গে থাকবে। এর চেয়ে খুব বেশি কিছু করার নাই।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here