নারায়নগঞ্জঃ
নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুরে ফয়সাল নামে এক তরুণ খুনের ঘটনায় মামলা হয়েছে। প্রেমিকা সামিয়ার সঙ্গে দেখা করতে গেলে প্রেমিকার ভাই ও আত্মীয়-স্বজনদের মারধরে নিহত হয় সে।
বৃহস্পতিবার নিহত ফয়সালের বাবা নূরুজ্জামান বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় ওই হত্যা মামলা করেন।
মামলায় ৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৪ থেকে ৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় ৫ জনকে গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ফয়সালের প্রেমিকা সামিয়া আক্তারের বড় ভাই নগর খানপুরের আলতাব হোসেনের ছেলে মো. আসিফ (২০) এবং তার চার বন্ধু একই এলাকার আলম মিয়ার ছেলে সাকিব হোসেন (১৫), আব্দুর রউফের ছেলে মো. মিলন (১৮), মোশারফ হোসেনের ছেলে রওনক হোসেন সানজি (১৭) ও সৈয়দ কায়ূম হোসেনের ছেলে সৈয়দ সায়েম হোসেন (১৮)।
ঘটনার পরপরই তাদেরকে আটক করা হয়। তবে এই মামলার এজাহরনামীয় আসামি জিসান দেওনজীর ছেলে শাওন বিন দেওনজী মিম (১৯) এখনও পলাতক।
মামলা ও গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সদর মডেল থানা পুলিশের অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) আসাদুজ্জামান।
তিনি বলেন, গ্রেফতাররা ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিতে সম্মত হয়েছে তাই তাদের বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদন করা হচ্ছে না।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, নগর খানপুর এলাকার আলতাবের স্কুল পড়ুয়া মেয়ে সামিয়া আক্তার (১৪) এর সাথে প্রেম ছিলো সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল চৌধুরীপাড়া এলাকার নূরুজ্জামানের ছেলে এসি মিস্ত্রি ফয়সালের।
বুধবার বিকেলে সে তার প্রেমিকার একটি মোবাইল ফোন দিতে এলে প্রেমিকা সামিয়ার ভাই আসিফ ও তার বন্ধুরা মিলে তাকে মারধর করে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে খানপুর হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে ঘটনার সংবাদ পেয়ে পুলিশ খানপুর হাসপাতাল থেকে নিহত ফয়সালের মরদেহ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠায় এবং অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত ৫ জনকে আটক করে।