সবুজদেশ ডেস্কঃ

করোনাকালীন নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়ে রীতিমতো বিপাকে বাংলাদেশ দল। ক্রিকেটারদের যে হোটেলে রাখা হয়েছে সেখান থেকে বের হওয়াও বারণ। কোয়ারেন্টিনের সময়টা জেলখানার কয়েদির মতোই- এমনটিই বলেছেন বাংলাদেশ দলের তারকা অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ।

ক্রাইস্টচার্চের সরকারি কোয়ারেন্টিন সেন্টারে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন চলছে তাদের। কোভিড-১৯ গাইডলাইন অনুযায়ী বাংলাদেশ দলের সবাই প্রথম তিন দিন রুমের বাইরে বেরই হতে পারেননি।

মেহেদী হাসান মিরাজ বলেন, প্রথম তিন দিন কেটেছে রুমে। এরপর আমরা আধাঘণ্টার জন্য বের হওয়ার সুযোগ পাই। আমার মাথা ঘুরছিল। ১০-১৫ মিনিট পর আস্তে আস্তে ঠিক হয়।

রোববার এক ভিডিও বার্তায় এই অলরাউন্ডার আরও বলেন, মনে হয়েছে প্রথম তিন দিন যেন জেলে ছিলাম। বিষয়টা হতাশার। খোলা আকাশ দেখার পর খানিকটা ভালো লাগে। রুমে ফেরার পর নিজেকে কিছুটা তরতাজা মনে হয়। রুমে সারা দিন থাকতে কার ভালো লাগে। তিন-চার দিন রুমে বন্দি থাকা আমাদের জন্য খানিকটা অস্বস্তির বৈকি। তাই বের হওয়ার যখন সুযোগ পেলাম, ভালো লাগল।

নিউজিল্যান্ডে কোয়ারেন্টিন নিয়ম বেশ কড়া। সাত দিন সবাই সবার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন থাকার পর নিঃসঙ্গতা থেকে মুক্তি পাবেন। তখন মিলবে অনুশীলনের সুযোগ। তবে পাঁচজনের বেশি নয়। পুরোদমে গোটা দল অনুশীলনের সুযোগ পাবে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকার পর।

এরই মাঝে আরও দু’বার করোনা পরীক্ষা হবে। প্রথমবার সবাই নেগেটিভ হয়েছেন। ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনের পর পাঁচদিনের অনুশীলন ক্যাম্প কুইন্সটাউনে।

মিরাজ আরও বলছেন, ছয়-সাত দিন পর জিম ও মাঠে যাওয়ার সুযোগ পাব। ভালো লাগবে তখন। এখন সময় কাটানো দুষ্কর। রুমে যদি জিম করার সুযোগ পেতাম, তাহলে ভালো হতো। বুঝতেই পারছেন, কীভাবে আমাদের দিন কাটছে। প্রথম তিন দিন কাউকে দেখতে না পারা কঠিন ছিল আমাদের জন্য।

তিনি আরও বলেন, ফোনে-ভিডিওকলে এক রুম থেকে আরেক রুমে কথা বলেছি। প্রথমদিকে একঘেয়েমিতে ভুগেছি। চার দিন কেটে গেছে। আশা করি বাকি তিন দিনও কেটে যাবে।

নিউজিল্যান্ড সফরে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ দল। আগামী ২০ মার্চ প্রথম ওয়ানডের মধ্য দিয়ে সফরের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here