কুষ্টিয়াঃ

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের সামনে দীর্ঘদিন ধরে জলবদ্ধতা ও জমে থাকা ময়লা পানিতে এডিস মশা তৈরীর কারখানা হিসাবে এখন পরিণত হয়েছে। এতে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও রোগীর স্বজনরা বলছেন হাসপাতালে সুষ্ঠু হতে এসে মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হচ্ছে অনেকেই।

হাসপাতাল কতৃপক্ষ নিরব মশা ও হাসপাতালের সামনে দীর্ঘদিন ধরে জলবদ্ধতা নিরসনের নেই তাদের কোনো উদ্যোগ। অন্যদিকে মশা নিধনে বিশেষ কোনো কর্মসূচিও নেই তাদের।

হাসপাতাল কতৃপক্ষ এ সমস্যার কথা স্বীকার করে বলছেন,সমাধানের দাবি জানানো হয়েছে সংশ্লিষ্টদের কাছে কিন্তু কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি। একটু বৃষ্টি হলেই ডুবে যাই হাসপাতাল আশপাশ এলাকা।

এদিকে রোগী ও রোগীর স্বজনরা বলছেন,অসুষ্ঠুতা নিয়ে হাসপাতালে আসি। কিন্তু সেখানে এসেই আরো বিপাকে পড়তে হচ্ছে। হাসপাতাল এলাকাটি এখন ডেঙ্গু ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছেন তারা,কারণ হাসপাতালের সামনে দীর্ঘদিন ধরে জলবদ্ধতা থাকা। হাসপাতালের ডেনলাইনের মধ্যেই মশা জন্ম নিচ্ছে। পাশ দিয়ে যাওয়া খোলা ডেনলাইন এর ময়লা ও দুরগন্ধজনীত পানি মানুষের দুঃখের শেষ নেই। বর্ষায় পানি জমে আর এখন মশার যন্ত্রণা শুরু হইছে। ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার না করলে মশা তো জন্মাবেই। আর এখান থেকেই বড় আকারের মশা জন্ম নিচ্ছে বলে ধারণা তাদের। হাসপাতাল এলাকায় মশার উৎপাত এখন ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। রোগী ও রোগীর স্বজনদের দিন অথবা রাত যেনো ভোগান্তির অভাব নেই।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) তাপস কুমার সরকার বলেন, আমি বার বার পৌর কতৃপক্ষকে জানিয়েছি। গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তারাও জানেন বিষয়টি কিন্তু কোনো কাজ হয়নি।

কুষ্টিয়ার পরিবেশবিদ ও গবেষক গৌতম কুমার রায় বলেন, কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের কার্যপনালি যদি নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা যাই। সেই ক্ষেত্রে ডেঙ্গু জীবাণুবাহিত যে মশা বংশ বিস্তার রোধ করা সম্ভব। আর যদি না করা হয় তাহলে সম্ভব হবে না। এতে রোগীরাও আতংক গুস্থ্য হবে না। রোগীর অভিভাবক যারা তারাও হাসপাতালের প্রতিবিমুখ হবে না।

পলাশ/এসএএস

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here