কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ

কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ধুবইল ইউনিয়নের গেটপাড়া জামে মসজিদের নাম ভাঙ্গিয়ে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে বশির আহম্মেদের বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য,বশির আহম্মেদ তিনি ওই মসজিদ কমিটির সভাপতি ও চলমান নাশকতা মামলার তালিকাভুক্ত আসামী তিনি।

সরেজমিনে ঘুরে ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা হলে তারা জানান,আগে থেকেই পাশে একটি মসজিদ রয়েছে। বর্তমানে বশির আহম্মেদ সেখান থেকে মসজিদটি সরিয়ে আবু আজমের মালিকানা জমির অংশে মসজিদ তৈরির কথা বলে করোনার ভিতরে গোপনে কাজ করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। যেখানে মসজিদের জায়গা নির্ধারণ করে নির্মানের প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন প্রকৃতপক্ষে সেই জমির মালিক জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী পরিষদের সিনিয়র সদস্য আবু আজম। মূলত বশির আহম্মেদ মসজিদের নাম ভাঙ্গিয়ে আবু আজমের ৯১শতক প্রায় ৩বিঘা জমি দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন দীর্ঘদিন ধরে। মসজিদের নাম ভাঙিয়ে পুরো জমিই হাতের মুঠোয় নেওয়ার নতুন কৌশল এটেছেন তিনি।
স্থানীয়রা বলছে, নামাজের ঘর নিয়ে কেউ ব্যবসা করবে এটা আমরা চাই না। এই জমির প্রকৃত মালিকের সাথে কথা বলে তারা জমিটি দিতে চাইলে তাহলে আর কোনো সমস্যা থাকে না। নামাজের ঘরটি কোনো প্রকার ঝামেলা ছাড়াই করার দাবি জানান তারা।

এই জমি নিয়ে বশির আহম্মেদ ও তার সঙ্গী দখলদারদের হুমকি ধমকিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন জমির প্রকৃত মালিক আবু আজম। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগায় এবিষয়ে মিরপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি) নং ৩২০ তাং ০৯/০৪/২০২০ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী পরিষদের সিনিয়র সদস্য আবু আজম জানান, এলাকাবাসীর জন্য অবশ্যই আমি মসজিদের জায়গা দিবো এবং মসজিদ নির্মাণের সহযোগীতাও করবো। কিন্তু মসজিদের নাম ভাঙ্গিয়ে আমার জমি দখল করে ও জমির ভুয়া কাগজপত্র তৈরী করে সরকারি বরাদ্দ ৫লক্ষ টাকা লুটেপুটে খাবে এটা মেনে নিবো না। এর সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। জমিটি নিয়ে মামলা চলায় নালিশী জমি হওয়া সত্বেও আদালতের নিষেধাক্কা ছিল নিমার্ণকাজ বন্ধে। কিন্তু সেই নিষেধাক্কাকে তোয়াক্কা না করেই করোনার মধ্যে নির্মাণ কাজ করে চলেছেন এই বশির আহম্মেদ। দীর্ঘদিন ধরে আমাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে চলেছে বশির।

জমি দখল করে মসজিদ নির্মান বিষয়ে গেটপাড়া জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি বশির আহম্মেদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তার মুঠোই ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে।

ধুবইল ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ডের (ইউপি) সদস্য শাহাজুল ইসলাম বলেন,বিষয়টি আমার জানা আছে। পাশে একটু জায়গাতে মসজিদ নির্মাণের কাজ করা হয়েছিল। সেই জায়গাটি বাদ রেখেই নির্মাণ কাজ চলছে। তবে জমিটি নিয়ে মামলা চলছে শুনেছি।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here