যশোরঃ

যশোরের মণিরামপুরে ত্রাণের সেই ৫৫৫ বস্তা চাল চুরির ঘটনায় উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চু জড়িত রয়েছে। চাল চুরির মামলার আসামি জগদীশ দাস শনিবার (২৭ জুন) যশোর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহাদী হাসানের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ওই তথ্য দিয়েছে।

এর আগে শনিবার সকালে উপজেলার জুড়ানপুর গ্রামের বাড়ি থেকে তাকে আটক করে ডিবি পুলিশ। তিনি ওই গ্রামের রবিন্দ্রনাথ দাসের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা ডিবি পুলিশের (ওসি) মারুফ আহম্মদ।

তিনি আরও জানান, যশোরের মণিরামপুরের খাদ্য গুদাম থেকে চুরি করে গত ৪ এপ্রিল আব্দুল্লাহ আল মামুনের ভাই ভাই রাইস মিলে আনলোড করছিলো আসামিরা। পুলিশ সংবাদ পেয়ে সেখানে গিয়ে মোট ৫৫৫ বস্তা চাল আটক করে। বস্তায় খাদ্য অধিদফতরের লোগোসহ লেখা ছিলো ‘শেখ হাসিনার বাংলাদেশে ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ’। পুলিশ ভাই ভাই মিলের মালিক আব্দুল্লাহ আল মামুন ও ট্রাক চালক ফরিদকে আটক করে। এই ঘটনায় মণিরামপুর থানায় একটি মামলা হয়। ডিবি পুলিশ ওই মামলার তদন্তকালে সরকারি চাল চুরির সাথে জগদীশের সম্পৃক্ততা পায়। ফলে তাকে শনিবার ভোরে বাড়ি থেকে আটক করে।

ওসি মারুফ আহম্মদ আরো জানিয়েছেন, আটক জগদীশকে আদালতে হাজির করা হলে তিনি জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহাদী হাসানের কাছে ১৬৪ ধারায় চাল চুরি সংক্রান্ত স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, এর আগে আব্দুল্লাহ আল মামুল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিল। মামুনের মতো জগদীশও আদালতকে জানিয়েছে-আব্দুল্লাহ আল মামুনের কাছে তিনি সরকারি ৫৫৫ বস্তা (১৬ টন) ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। এরপর ৪ এপ্রিল বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ট্রাক চালক ফরিদের ট্রাকের মাধ্যমে চাল ডেলিভারি দেয়া হয়। এর আগে ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চু ৩০ মার্চ চাল বিক্রির টাকা মামুনের কাছ থেকে নিয়ে নেন। চাল বিক্রির স্থান শাহিদুল ইসলাম নামে এক ভাই দেখিয়ে দিয়েছিল বলে তিনি আদালতে জানিয়েছেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here