যশোরঃ

যশোর জেলা বিআরটিএ অফিস ভেঙ্গে নির্মিত হবে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয়ের নতুন অত্যাধুনিক ৩ তলাবিশিষ্ট নিজস্ব ভবন। ভবনটি নির্মাণের জন্য ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১ কোটি ৬২ লক্ষ ৬২ হাজার টাকা ব্যয়ে ইতোমধ্যে জায়গা চিহ্নিত, প্রস্তাবিত বাজেট, টেন্ডার ও মূল নকশা অনুমোদন সম্পন্ন হয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম।

সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ ৪৭ বছর ধরে যশোর জেলা প্রশাসকের ভবনে নিচতলায় ১টি রুমে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে জেলা অফিসটি। ছিলো না কোন গোডাউন । শতবর্ষী এই ভবন বয়সের ভারে ছাঁদেও প্লিস্টার উঠে জীর্ণ হয়ে পড়েছে। নেই পর্যাপ্ত জায়গা। জায়গার অভাবে জরুরি নথিপত্র সংরক্ষন করা ও জেলা কর্মকর্তাসহ ৪ জন একই রুমে এলোমেলো অবস্থায় তাদের দৈনিন্দন কাজ করতে হচ্ছে। বিআরটিএ অফিস ভেঙ্গে ১ কোটি ৬২ লক্ষ ৬২ হাজার টাকা ব্যয়ে জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কার্যালয়ের অত্যাধুনিক ৩ তলা ভবন নিমার্ণ হবে। ভবনটির নির্মাণের জন্য জায়গা সংকট ছিলো। কিন্তু যশোর বিআরটিএ অফিস শেখ হাসিনা সফটওয়্যার পার্ক সংলগ্ন এলাকায় যাওয়ায় সেখানে নতুন ভবনটি নির্মাণ করা হচ্ছে।

সূত্রে আরো জানা গেছে, আপাতত তাদের নিজস্ব ভবন নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত একটি ভাড়া বাসায় তারা আপাতত তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবে। জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কার্যালয়ের ভবনটি নির্মাণ শুরু হবে নভেম্বর মাসে।

জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন অফিস জানায়, জেলা বিআরটিএ অফিস ভেঙ্গে ১০ শতক জমির উপর ১ কোটি ৬২ লক্ষ ৬২ হাজার টাকা ব্যয়ে তিন তলা ভবন নির্মাণ হবে। যার প্রথম তলায় ২৪৩২ বর্গফুট আয়তনে থাকছে ১০০ মে.টন ধারণ ক্ষমতার গোডাউন, গার্ড রুম। ২য় তলায় ১৯৫৫ বর্গফুট আয়তনে থাকছে জেলা ত্রাণ ও পূর্নবাসন কার্য্যলয়ের অফিস, শুকনা খাবার রাখার স্টোররুম, ২৪ ঘন্টা আবহাওয়ার তথ্য জানানোর জন্য থাকবে তথ্য কেন্দ্র ও কন্ট্রোল রুম। ৩য় তলায় ১০৩৯ বর্গফুট আয়তনে থাকছে রেষ্ট রুম, অত্যাধুনিক কনফারেন্সরুম।

এ বিষয়ে জেলা বিআরটিএ সহকারী পরিচালক কাজী মোহাম্মদ মোরছালীনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিআরটিএ অফিসের জায়গায় জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কার্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে। বিআরটিএ জায়গা সংকট দেখা দেয়ায় যশোর শেখ হাসিনা সফটওয়্যার পার্ক সংলগ্ন এলাকায় ৪ একর জমির উপর তাদের নতুন অফিস নির্মাণ হবে। প্রস্তাবিতটি বর্তমানে অপেক্ষামান। কিন্তুু ভবন নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত শেখ হাসিনা সফটওয়্যার এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে তারা তাদের কাজ পরিচালনা করবে বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।

এ বিষয়ে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বলেন, ৪৭ বছরের পুরনো ভবনে দীর্ঘদিন অফিস করছিল জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তারা। জায়গা সংকট ও নানাবিধ সমস্যার জন্য তিন তলাবিশিষ্ট অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন একটি ভবন দিচ্ছে সরকার। এটা দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল। ইতোমধ্যে জায়গা চিহ্নিত, প্রস্তাবিত বাজেট, টেন্ডার ও মূল নকশা অনুমোদন সম্পন্ন হয়েছে। ১০০ মে.টন ধারণ ক্ষমতার গোডাউন থাকবে ।

আগামি মাসের নভেম্বর ৩ তারিখের মধ্যে জেলা বিআরটিএ অফিস সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরের ১ কোটি ৬২ লক্ষ ৬২ হাজার টাকা ব্যয়ে চলতি বছরের ডিসেম্বর কাজ শুরু হবে। ভবন নির্মাণ হলে জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন অফিসের জায়গা সংকটসহ জেলায় দুর্যোগসহনীয় কার্যক্রম আরো বাড়বে।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here