রংপুর প্রতিনিধিঃ

রংপুর নগরীসহ জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না মোটা চাল। ফলে বেড়েছে চিকন ও মাঝারি চালের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে চালের মানভেদে এ দাম বৃদ্ধি হয়েছে। মৌসুম শেষে চালের সরবরাহ কমায় ও ধানের বাজারের মূল্য বেশী থাকায় বাজারে চালের দাম বেড়েছে।

এদিকে চালের দাম হঠাৎ বৃদ্ধি হওয়ায় অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। অনেকেই আবার চাল না কিনে দাম কমার অপেক্ষায় রয়েছে। অপর দিকে আলুর দাম প্রকার ভেদে ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এতে বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ।

সিটি বাজার, মাহিগঞ্জ বাজারসহ বিভিন্ন বাজারের চাল ব্যবসায়ীদের তথ্য অনুযায়ী, কয়েকদিন আগেও মিনিকেট চাল ৫২ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে, বর্তমানে তা বেড়ে ৫৪ টাকা হয়েছে। নাজিরশাইল চাল ৫৬ টাকা থেকে বেড়ে ৫৮ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, এক সপ্তাহ ধরে চালের দাম বাড়তি। সামনে চালের দাম আরও বাড়তে পারে। ইতিমধ্যে রশিদের মিনিকেট ২৫ কেজি বস্তা আমাদের কিনতে হচ্ছে ১৩শ’ ৫০ টাকা দিয়ে। রশিদের চালের দাম বাড়লে অন্য ব্যবসায়ীরাও চালের দাম বাড়িয়ে দেয়। গত কয়েক দিনের ব্যবধানে সবাই চালের দাম কেজিতে ২-৩ টাকা বৃদ্ধি করেছে। দাম বাড়ায় মিনিকেট চাল বিক্রি করতে হচ্ছে ৫৪ টাকায়, যা আগে ৫০ টাকাও বিক্রি করেছি।

নগরীর মাহিগঞ্জ এলাকার চালের আড়তদার জাহাঙ্গীর আলম ও আশরাফুল বলেন, বর্তমানে বাজারে কোন মোটা চাল নেই। চিকন চালের মধ্যে বিআর ২৮ও ২৯ বস্তা প্রতি ( ৫০ কেজি) ২৩শ’ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। এখন ২৪শ’৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও মিনিকেট চালের বস্তা (৫০ কেজি) কয়েকদিন আগে ছিল ২৫ শ’ টাকা। বর্তমানে ২৭শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চাল ব্যবসায়ী গুলশান আহমেদ, রাজ্জাক মিয়া ও আবুল বাশার বলেন, চালের যেভাবে অস্বাভাবিক দাম বাড়ছে তার মূল কারণ ছোট ছোট হাসকি মিল গুলো এখন আর চলে না। শুধামাত্র অটো রাইস মিলে চালের উৎপাদন হচ্ছে। এসব অটো রাইস মিলের কারসাজিতে চালের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও দাম বাড়ছে।

তামপাট এলাকার অটো চালক সামসুল হক ও একরামুল মিয়া জানান, চালের দাম বেড়েইে চলছে। তাছাড়া নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর দামও আকাশচুম্বি। এতে আমরা নিম্ন আয়ের মানুষরা চরম বিপাকে পড়েছি। অনেকেই চালের বদলে আটা কিনে খাচ্ছে।

নগরীর কামাল কাছনার নুর ইসলাম ও জুম্মাপাড়ার রাফসান মুন বলেন, চাল, আলু, সবজিসহ সব কিছুর দাম দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তুু আমাদের আয়তো বাড়ছে না। করোনার কারণে নিম্ন আয়ের অনেকেই বেকার হয়ে পড়ে আছেন। অপর দিকে একটি অসাধু চক্র শুধু আয় করছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here