বিশেষ প্রতিনিধিঃ

রাত এলেই দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলরের একমাত্র সড়কটি যেন মানুষের চলার পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সন্ধ্যা থেকেই এই ঝিনাইদহ-যশোর সড়কের ছালাভরা নামক স্থানের ব্রীজের দুই পাশে শত শত গাড়ির সারি পড়ে যায়। সাধারণ মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

জানা গেছে, গত ৩ মাস আগে এই ব্রীজটি ভেঙে যায়। এরপর সেটি মেরামত না করেই ভাঙা ব্রীজের উপর লোহার একটি ব্রীজ স্থাপন করা হয়। মাটি দিয়ে উঁচু করা এবং রাস্তার পাশে জায়গা না থাকায় অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে বড় বড় যানবাহনগুলোর। আর সন্ধ্যা হওয়ার পর যানবাহনগুলো ঝুঁকি নিয়ে পার হতে অনেক সময় লাগছে। এতে রাস্তার দুইপাশে শত শত গাড়ি আটকা পড়ছে। দীর্ঘদিন এই সমস্যা দেখা গেলেও ব্রীজটি মেরামত করার কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না সংশ্লিষ্টরা। ঢাকাগামী পরিবহনগুলো অন্য সড়ক দিয়ে যাতায়াত করছে।

ঝিনাইদহ গামী শরিফুল ইসলাম নামের এক যাত্রী বলেন, তিনি যশোরে একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন। যশোর থেকে ঝিনাইদহ ফেরার পথে তিনি প্রায়ই এখানে আটকা পড়েন। ৩ ঘন্টা ধরে তিনি আটকা পড়ে আছেন।

শৈলকুপায় কর্মসংস্থান ব্যাংকে চাকরি করেন কালীগঞ্জ উপজেলার রঘুনাথপুর এলাকার এক যাত্রী বলেন, বৃহস্পতিবার অফিস করে বাড়ি ফিরছি। কিন্তু এখানে এসে দেখি শত শত গাড়ির লম্বা সারি। এই ব্রীজটি মেরামত না করলে যাতায়াত করতে অনেক সমস্যা হচ্ছে।

খুলনা-কুষ্টিয়াগামী গড়াই পরিবহনের চালক সাইদুল ইসলাম বলেন, ব্রীজের এক পাশ অচল হয়ে পড়েছে দীর্ঘদিন। রাত এলে এই ব্রীজ পার হওয়া অনেক ঝুঁকি। তাই একপাশ দিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে। প্রায়ই এখানে ৩/৪ ঘন্টা আটকা পড়তে হচ্ছে।

বারবাজার হাইওয়ে থানার ওসি মফিজুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে সেখানে হাইওয়ে থানার পুলিশ পাঠানো হয়েছে। খুব দ্রুতই যানজট নিরসন হয়ে যাবে।

কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুবর্ণা রানী সাহা বলেন, ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগ কাজ করছে। অচিরেই এই সমস্যার সমাধান হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here