সবুজদেশ ডেস্কঃ

দারুণ লড়াই করল অলিম্পিক লিওঁ। কিন্তু মাঠের ফলটা তাদের আত্মবিশ্বাসী ফুটবলের ছাপ দেখাচ্ছে না। লিসবনে বুধবার রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে যে লিওঁকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ।

বায়ার্নের হয়ে জোড়া গোল করেন সের্গে জিনাব্রি। বাকি গোলটি রবার্তো লেভানদোভস্কির। ইউরোপসেরার লড়াইয়ে এ নিয়ে ১১তম বারের মতো ফাইনালে ওঠল মিউনিখের দলটি। ফাইনালে তারা লড়বে পিএসজির বিপক্ষে।

ম্যাচের ফলটা অন্যরকম হতে পারতো। ফেবারিট বায়ার্নকে ভালোই চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল লিওঁ। ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো ফরাসি ক্লাবটি। সতীর্থের থ্রু বল ধরে ডি-বক্সে ঢুকে গোলরক্ষককে একা পেয়ে গিয়েছিলেন মেমফিস ডিপাই।

কিন্তু ফাঁকা পোস্টে জোরালো শট পাশের জালে মেরে সুযোগ নষ্ট করেন ডাচ ফরোয়ার্ড। প্রথম ১৭ মিনিটে চাপ ধরে রাখা লিওঁ আরও দুটি ভালো আক্রমণ করে, কিন্তু ফিনিশিংয়ের ব্যর্থতায় গোলের দেখা পায়নি।

অথচ প্রথম সুযোগেই জালের দেখা পেয়ে যায় বায়ার্ন। ১৮তম মিনিটে মাঝমাঠ থেকে লম্বা পাস ধরে বক্সের বাইরে থেকেই বুলেট গতির এক শটে গোল করেন সের্গে জিনাব্রি। ৩৩তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে তিনিই।

বাঁ দিক থেকে ইভান পেরিসিচের গোলমুখে বাড়ানো পাস একদম গোলরক্ষকের সামনে পেয়ে পা ছুঁইয়ে দিয়েছিলেন লেভানদোভস্কি। তাতে গোল হয়নি। তবে এত সামনে থেকে মুহূর্তে বলটি গ্লাভসে রাখতে পারেননি গোলরক্ষক অঁতনি লোপেজও। আর সেই সুযোগে গোল করে দেন জিনাব্রি।

দুই গোলে পিছিয়ে বিরতিতে যাওয়া লিঁও ফের নতুন উদ্যমে লড়াই শুরু করে। বায়ার্নের রক্ষণ দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে বেশ কয়েকটি সুযোগও তৈরি করেছিল। কিন্তু আগের মতোই ফরোয়ার্ডরা ব্যর্থতার পরিচয় দেন। আক্রমণ পাল্টা আক্রমণের মধ্যেই ম্যাচের শেষভাগে এসে আরও এক গোল পেয়ে যায় বায়ার্ন।

৮৮ মিনিটে এই গোল করেন লেভানদোভস্কি। সেট পিস থেকে বক্সের মধ্যে বল পেয়ে লাফিয়ে ওঠে দারুণ এক হেডে গোল করেন পোলিশ স্ট্রাইকার। শেষতক ৩-০ গোলের বড় জয় নিয়েই ফাইনালে নাম লেখায় বায়ার্ন।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here