সবুজদেশ ডেস্কঃ

উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠল প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি)। ১৯৯৪-৯৫ মৌসুমে সেমিফাইনালে উঠলেও ইউরোপের সেরা হয়ে ওঠা হয়নি কোনো বারেই।

মঙ্গলবার রাতে দাপুটে ম্যাচ খেলে জার্মানির ক্লাব আরবি লিপজিগকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করল ফরাসি ক্লাবটি।

এদিন রাত একটায় লিসবনের মাঠে শুরু হওয়া খেলার পুরো সময়টাই পিএসজির নিয়ন্ত্রণে ছিল। ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার জুনিয়র আর আর্জেন্টাইন তারকা ডি মারিয়ার ভেলকিতে পরাস্ত হয়েছে লিপজিগের খেলোয়াড়রা।

ম্যাচের ৫৭.৬ শতাংশ বল দখলে রেখেছিল নেইমাররা। বিপরীতে লিপজিগ ৪২.৪ শতাংশ।

ম্যাচ শুরুর ৬ মিনিটে প্রথম আক্রমণে যায় পিএসজি। সহজ সুযোগ মিস করেন নেইমার। বক্সের মধ্যে বল পেয়েও তাতে পা ছোঁয়াতে পারেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। পরের মিনিটে নেইমারের পাসে এমবাপ্পে বল জালে পাঠান। কিন্তু আগেই নেইমারের হাতে বল লেগে যাওয়ায় সেই গোল বাতিল করে দেয় রেফারি।

এই ঘটনার ১৩ মিনিট পার লিড নিতে পারে পিএসজি। ডি মারিয়ার সেট-পিস থেকে অসাধারণ হেডে লিপজিগের গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন মারকুইনস। ১-০ গোলে এগিয়ে যায় পিএসজি।

ম্যাচের ২৫ মিনিটে সমতায় ফিরতে পারত লিপজিগ। কিন্তু ডেনিশ স্ট্রাইকার পুলসেনের শর্টটি অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৩৬ মিনিটে নেইমারের একটি ফ্রি-কিক গোলবারে লেগে ফিরে আসে।

তবে ম্যাচের ৪২ মিনিটে ফের সফল পিএসজি। নেইমারের চমৎকার বুদ্ধিমত্তায় ডি-বক্সে বল পেয়ে যান আর্জেন্টাইন তারক অ্যানহেল ডি মারিয়া। সেটিকে মুহূর্তের মধ্যে গোলে পরিণত করতে ভুল করেননি ডি মারিয়া।

স্কোরবোর্ডে ২-০ গোল নিয়ে প্রথমার্ধের বিরতিতে যায় দুই দল।

দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে পরিশোধের বদলে উল্টো গোল হজম করে লিপজিগ। ফের নায়ক রূপে আবির্ভাব ঘটে ডি মারিয়ার।

দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর মাত্র ১১ মিনিটের মাথায় ডি মারিয়ার এসিস্টকে গোলে রূপ দেন বার্নাট।

৩-০তে এগিয়ে যায় প্যারিসের দলটি। এরপর বেশ কয়েকটি আক্রমণ হলেও আর গোল হয়নি।

ফলাফল ৩-০ ব্যবধানে লিপজিগকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে জায়গা করে নেয় পিএসজি।

এবার অপর সেমিফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখ ও অলিম্পিক লিওঁনের ম্যাচে জয়ী দলকে প্রতিপক্ষ হিসাবে পাবে তারা।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here