যশোরঃ
যশোর জেনারেল হাসপাতালে শিগগিরই আইসিইউ ভেন্টিলেটর সুবিধা চালু করা হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে ইতোমধ্যে ৬টি আইসিইউ ভেন্টিলেটর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে প্রতিষ্ঠানটিকে। দু-একদিনের মধ্যেই যা যশোরে এসে পৌঁছাবে। যদিও মেশিনারিজ পরিচালনার জন্য পর্যাপ্ত জনবল নেই হাসপাতালের।
অবশ্য সিভিল সার্জন বলছেন, স্থানীয়ভাবে ডাক্তার ও নার্সদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে আইসিইউ চালু করা হবে এবং পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করতে জনবল চাওয়া হবে।
যশোরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় ১২ এপ্রিল। এরপর বাড়তে থাকে রোগীর সংখ্যা। শনিবার (২৭ জুন) পর্যন্ত যশোরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫১০ জন। শুরু থেকে করোনা উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হওয়া রোগীদের যশোর জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। এসময় হাসপাতালে বেশকিছু রোগী এসেছেন যাদের আইসিইউ সাপোর্টের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু সে সুবিধা না থাকায় রোগীদের খুলনা ও ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে। এ অবস্থায় চিকিৎসা সুবিধার্থে আইসিইউ ভেন্টিলেটর চেয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাদের সে চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় ৬টি আইসিইউ ভেন্টিলেটর যশোর জেনারেল হাসপাতালের অনুকূলে বরাদ্দ দিয়েছে।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. আরিফ আহমেদ বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য বিভাগের ১০টি আইসিইউ ভেন্টিলেটর চাহিদাপত্র দেওয়া হয়েছিল। ঢাকার নাক-কান-গলা ইনস্টিটিউটের মেরামতকৃত ৬টি আইসিইউ ভেন্টিলেটর বরাদ্দ পাওয়া গেছে। যা আগামীকাল রবিবার (২৮ জুন) নাগাদ হাতে পাওয়া যাবে। আইসিইউ ইউনিট স্থাপনের জন্য ইতোমধ্যে হাসপাতালের ৬ নম্বর মহিলা সার্জারি ওয়ার্ডটি খালি করে মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দ্রুতই এটি চালু করা হবে। এ সংক্রান্ত প্রশিক্ষিত জনবল চেয়ে পুনরায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চিঠি দেওয়া হবে।
সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন বলেন, আইসিইউ না থাকায় প্রায়ই যশোর থেকে গুরুতর অসুস্থ রোগীদের খুলনা ও ঢাকায় রেফার্ড করা হচ্ছিল। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে যে বরাদ্দ এসেছে। তাতে এ অঞ্চলের মানুষের চিকিৎসায় নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে।
তিনি বলেন, আইসিইউ চালু করতে প্রশিক্ষিত জনবলের অভাব থাকলেও স্থানীয়ভাবে ডাক্তার ও নার্সদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে আইসিইউ চালু করা হবে। পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করতে জনবল চাওয়া হবে।