সবুজদেশ ডেস্কঃ

টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা থাকাকালে প্রদীপ কুমার দাশ এমন ‘নাম’ কামিয়েছিলেন যে বাবা-মায়েরা তাদের সন্তানদের ঘুম পাড়াতেন তার ভয় দেখিয়ে বলতেন, ‘ঘুমাও, না হলে প্রদীপ আসবে’।

ওসি প্রদীপের প্রশংসা করতে গিয়ে গত বছর এক অনুষ্ঠানে কথাগুলো বলেছিলেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক কামাল হোসেন।

গত বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি ১০২ জন ইয়াবা চোরাকারবারির আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে ডিসি বলেন, ‘মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু হয়েছে। আমরা আর পিছু হঠতে পারব না। আমি টেকনাফ থানার ওসিকে (প্রদীপ) ধন্যবাদ জানাতে চাই, যিনি আসার পর থেকে এখানকার বাসিন্দারা তাদের সন্তানদের বলেন, ঘুমাও, না হলে প্রদীপ আসবে। আমরা এটা ধরে রাখতে চাই।’

বক্তৃতাকালে কামাল হোসেন আরও বলেন, ‘আমরা আইনের প্রয়োগ করে মাদক নির্মূল করতে চাই।’

ডিসির সেই বক্তৃতার একটি ভিডিও ক্লিপ এই প্রতিবেদকের কাছে আছে।

মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার পর, প্রদীপকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। সাবেক এই কর্মকর্তা এখন কারাগারে।

গত বুধবার যোগাযোগ করা হলে কক্সবাজারের ডিসি কামাল হোসেন বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি এ কথা বলেছিলাম যে, ‘আমরা আইনের প্রয়োগ করে মাদক নির্মূল করতে চাই। আমরা আইনের মধ্যে থেকেই আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করতে চাই।’

গত ৩১ জুলাই কক্সবাজারের শামলাপুর পুলিশ চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা সিনহা মো. রাশেদ খান। তিনি স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সে (এসএসএফ) কর্মরত ছিলেন। দুই বছর আগে তিনি সেনাবাহিনী থেকে স্বেচ্ছায় অবসরে যান।

প্রদীপ ওসি থাকাকালীন ভয়ে অভিযোগ করার সাহস করেননি স্থানীয় বাসিন্দারা। তিনি বরখাস্ত হওয়ার পর থেকেই সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অভিযোগ আসতে শুরু করে। তথাকথিত বন্দুকযুদ্ধে হত্যার হুমকি দিয়ে তিনি স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করতেন।

সুত্রঃ দ্যা ডেইলি স্টার অনলাইন।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here