ঢাকাঃ

হঠাৎই উত্তপ্ত বাংলাদেশের ক্রিকেট। আগুনটা জ্বাললেন স্বয়ং ক্রিকেটাররা। বেতন-ভাতা বৃদ্ধিসহ ১১ দফা দাবিতে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন ক্রিকেটাররা। জানিয়েছেন, দাবি দাও্রয়া পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে। ধর্মঘট চলাকালে কোনোরকম ক্রিকেটীয় কাজে অংশ নেবেন না তারা।

আজ দুপুরে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন ক্রিকেটাররা। এই আন্দোলনের ফলে অনিশ্চিত হয়ে পড়ল বাংলাদেশের ভারত সফর। পাশাপাশি এনসিএল (জাতীয় ক্রিকেট লিগ) এবং আসন্ন বিপিএলও (বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ) ডাকা পড়ল অনিশ্চয়তার চাদরে।

বেতন-ভাতা বৃদ্ধিসহ দাবি দাওয়া নিয়ে ক্রিকেটারদের ধর্মঘটের ডাক বা আন্দোলনে নামা নতুন কোনো বিষয় নয়। অস্ট্রেলিয়ার মতো উন্নত দেশেও এমনটা ঞয়েছে। তবে বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে আজকের দিনটি অর্থাৎ ২১ অক্টোবর অন্য রকম এক দৃষ্টান্ন হয়েই থাকবে। কারণ বেতন-ভাতা নিয়ে দেশের ক্রিকেট বোর্ডের বিরুদ্ধে ক্রিকেটারদের সরাসরি আন্দোলনে নামার ঘটনা এটাই প্রথম।

দেশের ক্রিকেট ঠিকঠাক চলছে না, এই অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটারা। সাকিব, তামিম, মুশফিকসহ জাতীয় দলের সব ক্রিকেটারই উপস্থিত হন মিরপুরে। তবে ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা এখনো ক্রিকেটারদের ধর্মঘট আন্দোলনে শরীক হননি।

ক্রিকেটাররা সবাই জড়ো হন মিরপুর ক্রিকেট একাডেমী ভবনের সামনে। সেখানেই ক্রিকেটারদের এই ধর্মঘটের ডাক দেন সাকিব আল হাসান। দাবি না মালনে সব ধরনের ক্রিকেট বয়কট করা হবে, বিসিবিকে এই হুমকি দিয়ে কথা বলা শুরু করেন সাকিব। বিসিবিকে তিনি স্পষ্টই জানিয়ে দেন, ‘দাবি দাওয়া না মানা পর্যন্ত ক্রিকেটাররা কোনো রকম ক্রিকেট কার্যক্রমে অংশ নেবে না।’

এমপি মাশরাফি বাদে জাতীয় দলের সব ক্রিকেটারই আন্দোলনে শরীক। তবে বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে থাকায় অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটারদের আন্দোলনের বাইরে রাখা হয়েছে। ক্রিকেটারদের ১১ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে বেতন-ভাতা বৃদ্ধি, চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়ের সংখ্যা বাড়ানো, গ্রাউন্সম্যান থেকে শুরু করে বিসিবির বেতনভুক্ত কর্মীদের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

এছাড়া ঘরোয়া ক্রিকেট, বিশেষ করে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেটে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা অনিয়ম-‍দুর্নীতির অবসান এবং ঘরোয়া ক্রিকেটে টুর্নামেন্টের সংখ্যা বাড়ানোর দাবিও জানিয়েছেন ক্রিকেটাররা। 

প্রশ্ন হলো, বিসিবি কী ক্রিকেটারদের এই দাবি মেনে নেবে?

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here