সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ

জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও সর্দি কাশিতে আক্রান্ত হয়ে সাতক্ষীরার কালিগজ্ঞ উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামের গৃহবধু শিল্পী খাতুন (৩০) মারা গেছেন। বুধবার ভোররাতে বাবার বাড়ি পার্শ্ববর্তী বন্দকাটি গ্রামে তিনি মারা যান। গত সাত দিন ধরে ওই গৃহবধু জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন।

গৃহবধু শিল্পী খাতুন ফতেপুর গ্রামের সিরাজুল কারিগরের স্ত্রী ও দুই সন্তানের জননী। মৃতের স্বামী সিরাজুল কারিগর জানান, গত (২৭ মার্চ) শুক্রবার রাতে শিল্পীর বমি শুরু হয়। শনিবার সকাল পর্যন্ত একটানা বমি করতে থাকে। শরীরে জ্বর, সর্দি, কাশি ছিল। শনিবার দুপুরের দিকে শিল্পীকে বাবার বাড়ি বন্দকাটি গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার স্থানীয় চিকিৎসক ডা. রুহুল আমিন শিল্পীর শরীরে ১০৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা পান। রক্তচাপ ছিল ৯০/৬০। এছাড়া শ্বাসকষ্ট ছিল। রুহুল আমিনের দেওয়া ব্যবস্থাপত্রের ঔষধে শিল্পীর শরীরের জ্বর ও শ্বাসকষ্ট কমে যায়। তবে বুকে গ্যাসের ব্যাথা ছিল। তবে কোন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়নি।

অন্যদিকে, শিল্পী খাতুনের বাবা আব্দুস সালাম জানান, মঙ্গলবার রাতে শিল্পীর বমি ও বুকে ব্যাথা শুরু হয়। অসুস্থ হয়ে পড়লে গায়ে পানি ঢালা হয়। এক পর্যায়ে শরীর ঠান্ডা হয়ে যায়। পরবর্তীতে ভোররাতে শিল্পী মারা যায়।

দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রশান্ত কুমার সরকার বলেন, টানা কয়েকদিন ধরে সর্দি, কাশি ও জ্বরে আক্রান্ত ছিল মেয়েটি। মারা যাওয়ার পর স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা এসেছিলেন। তাদের অনুমতিক্রমে বেলা ১২টার দিকে মরদেহটি দাফন করা হয়েছে।

অস্বাভাবিক এ মৃত্যুর ব্যাপারে কালিগজ্ঞ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শেখ তৈয়েবুর রহমান জানান, মেয়েটি কার্ডিয়া অ্যারেজট (বুকে ব্যাথার) কারণে মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার শরীরের করোনা উপসর্গের কোন লক্ষণ পাওয়া যায়নি। তার কোন নমুনাও সংগ্রহ করা হয়নি। করোনা উপসর্গ না থাকায় মরদেহটি দাফনের জন্য বলা হয়েছে।

পরিবার দাবি করছে শিল্পীর জ্বর ও সর্দি কাশি ছিল এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, পরিবার অশিক্ষিত মানুষ। ভালো বোঝে না। যার কারণে এমনটা দাবি করছেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here