ঝিনাইদহঃ

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থানায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার, হয়রানিসহ নানা অভিযোগের ভিত্তিতে এবার ৩২ পুলিশ সদস্য সাবেক ওসি মো. ইউনুস আলীর বিরুদ্ধে স্বাক্ষ্য দিয়েছেন। এছাড়া পুলিশ ক্লিয়ারেন্সে ঘুষ নেওয়া তিনজন ব্যক্তি স্বাক্ষ্য দিয়েছেন।

শনিবার সকাল থেকে পর্যায়ক্রমে স্বাক্ষ্য প্রদান করেন তারা। তাদের সকল বক্তব্য লিখিত আকারে লিপিবদ্ধ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন খুলনা পুলিশের আরআরএফের কমান্ডেন্ট তাছলিমা খাতুন, ঝিনাইদহ সার্কেলের এএসপি কনক কুমার দাস।

জানা গেছে, ৩২ পুলিশ এসআই, এএসআই ও কনস্টেবল পদমর্যাদার। কালীগঞ্জ থানায় মো. ইউনুস আলী দায়িত্ব পালন করার সময় এই সদস্যরাও কর্মরত ছিলেন। তাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার ও বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয়। এসব নিয়ে পুলিশের বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ করেন তারা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের এসআই পদমর্যাদার একজন বলেন, আমি ওসি মো. ইউনুস আলীর সময়ে কালীগঞ্জ থানায় দায়িত্ব পালন করতাম। সারারাত ডিউটি করে ফেরার পর সকালে যখন বাসায় ফিরব, ঠিক ওই সময় ফোন দিয়ে একটা স্থানের নাম উল্লেখ করে বলবেন ওখানে ডাকাতি হয়েছে তাড়াতাড়ি যান। গিয়ে দেখি কিছুই ঘটেনি। এমন ঘটনা তিনি প্রায়ই অন্যদের সঙ্গেও করতেন।

তিনি আরও বলেন, সকালে তিনি থানায় না যাওয়া পর্যন্ত কেউ থানায় প্রবেশ করতে পারতেন না।

ঝিনাইদহ পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিলু মিয়া বিশ্বাস বলেন, সাবেক ওসি ইউনুচ আলীর বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সিআইডি বা উচ্চপদস্থরা কেবল বিষয়টি সম্পর্কে জানেন। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তিনি এর বেশি কিছু বলতে রাজি হননি।

উল্লেখ্য, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থানায় দায়িত্ব পালনকালে ওসি ইউনুস আলীর বিরুদ্ধে পুলিশের বিভিন্ন দফতরে ৪৫টি অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা। এতে প্রায় ৭৫ জন সাক্ষীর বক্তব্য গ্রহণ করছেন যশোর সিআইডি।

ঘুষ নিয়ে পকেটে রাখার ভিডিও

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here