ঢাকাঃ

কোনো ধরনের হাঁকডাক ছাড়াই ফ্রন্টের প্রধান নেতা গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।

বুধবার দুপুরে মতিঝিলে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে ফ্রন্টের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

জানা গেছে, এক বছর পূর্তি উপলক্ষে ও নতুন ভোটের দাবিতে আগামী ২৯ অথবা ৩০ ডিসেম্বর ঢাকায় সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

ঐক্যফ্রন্টের দফতর প্রধান জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু বৈঠকের কথা স্বীকার করলেও বৈঠকে কি সিদ্ধান্ত হয়েছে সে বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হননি।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আগামী ৩০ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ করবে। এছাড়া ১৩ অক্টোবর ঐক্যফ্রন্ট গঠনের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে ঢাকায় সমাবেশ করবে। কোথায় সমাবেশ করবে সেটা না জানালেও অনুমতি সাপেক্ষে যেকোনো উন্মুক্ত স্থান অথবা ঘরোয়াভাবে এ সমাবেশ করা হবে।

একই সঙ্গে বৈঠকে আরও সিদ্ধান্ত হয়, কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দির মুক্তি, সংসদ বাতিল করে অবিলম্বে জাতীয় সরকার গঠন, ক্যাসিনোর সঙ্গে জড়িত চুনোপুটি নয়, রাঘব বোয়ালদের গ্রেফতারের দাবিতে অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম-সিলেটসহ কয়েকটি বিভাগীয় শহরে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে সমাবেশ করা হবে।

এসব সমাবেশে ড. কামাল হোসেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত থাকবেন।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পরবর্তী বৈঠক আগামী ৬ অক্টোবর মতিঝিলে ড. কামাল হোসেনের আইনি চেম্বারে অনুষ্ঠিত হবে। ওইদিন সব কর্মসূচির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে বলেও জানা গেছে।

জানতে চাইলে জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রহমান বলেন, ভোট ডাকাতির নির্বাচনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ঢাকায় প্রতিবাদ সমাবেশ করা হবে ২৯ অথবা ৩০ ডিসেম্বর। এছাড়া ১৩ অক্টোবর ঐক্যফ্রন্টের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ঢাকায় সমাবেশ করা হবে। আর অক্টোবর-নভেম্বর মাসে চট্টগ্রাম ও সিলেটে সমাবেশ হবে। এই সমাবেশের তারিখ পরে নির্ধারণ করা হবে। 

ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে অংশ নেন, জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, নাগরিক ঐক্যর আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন, গণফোরামের জগলুল হায়দার আফ্রিক, নাগরিক ঐক্যর ডা. জাহেদ উর রহমান, শহীদুল্লাহ কায়সার প্রমুখ।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here