ঝিনাইদহঃ

দৈনিক আমাদের নতুন সময় পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি ও গ্রামের কাগজের ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি এম মাহফুজুর রহমানের সাথে অসৌজন্যমুলক আচরণের দায়ে হরিণাকুন্ডু থানার কনস্টেবল আব্দুল আলীমকে বদলী করা হয়েছে।

এছাড়া এসআই জিয়াউল হকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার উদ্যোগ নিয়েছে জেলা পুলিশ প্রশাসন।

সোমবার দুপুরে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিলু মিয়া বিশ্বাসের সাথে জেলার সিনিয়র সাংবাদিকরা সাক্ষাত করলে তিনি এ কথা জানান।

সাংবাদিক এম মাহফুজুর রহমান পুলিশ সুপার মোঃ হাসানুজ্জামানের কাছে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, রোববার তিনি একটি তথ্য সংগ্রহনের জন্য হরিণাকুন্ডু থানায় যান। থানার মধ্যে ঢুকতেই সেন্ট্রি পোষ্টে সাদা পাশোকে দায়িত্বরত কনস্টেবল আব্দুল আলীম এম মাহফুজকে বাধা দেন। কেন প্রবেশ করা যাবে না এমন প্রশ্ন করতেই থানার মধ্যে থাকা এসআই জিয়াউল হক বাইরে বেরিয়ে আসেন। তিনি এসে সাংবাদিকদের নিয়ে অশালীন কথা বলেন এবং ফেনসিডিল দিয়ে সাংবাদিক এম মাহফুজকে ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকী দেন। উচ্চস্বরে আওয়াজ শুনে বাইরে বেরিয়ে আসেন ওসি আসাদুজ্জামান। ওসি এসে পরিবশে শান্ত করার চেষ্টা করেন।

এ সময় এসআই জিয়াউল হক ওসি আসাদুজ্জামানের সাথেও তুই তুকারি আচরণ করেন। অভিযোগপত্রে সাংবাদিক নিজের নিরাপত্তা এবং এসআই জিয়াউল হক ও কনস্টেবল আব্দুল আলীমের বিচার দাবী করেন।

বিষয়টি নিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিলু মিয়া বিশ্বাস জানান, আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। কনস্টেবল আব্দুল আলীমকে বদলী করা হয়েছে। এসআই জিয়উিল হকের বিরুদ্ধেও তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে হরিণাকুন্ডু থানার ওসি আসাদুজ্জামান সেদিনকার ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here