ঢাকা ০৫:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এইচবিওর পর্দায় দেখা যাবে বাংলাদেশের সুদীপকে

Reporter Name

সবুজদেশ ডেস্কঃ

জনপ্রিয় টিভি চ্যানেল এইচবিওর একটি ধারাবাহিকে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের তরুণ অভিনেতা সুদীপ বিশ্বাস দীপ। ‘ইনভিজিবল স্টোরিজ’ ছয় পর্বের ধারাবাহিকের একটি পর্ব তৈরি হয়েছে দীপকে কেন্দ্র করে। আগামী বছরের ৫ জানুয়ারি এই ধারাবাহিকের প্রচার শুরু হবে। 

দীপ জানান, এর আগে তিনি ২০১৪ সালে আইডেনটিটি শিরোনামে একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন। রুহুল রবিন খান পরিচালিত চলচ্চিত্রটি দেশের বাইরে ৯টি আন্তর্জাতিক উৎসবে দেখানো হয়। ২০১৬ সালে সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত উৎসবে প্রদর্শিত হয়। সেখানে দেখে এইচবিও কর্তৃপক্ষ আইডেনটিটির পরিচালক রুহুল রবিন খানের সঙ্গে যোগাযোগ করে সুদীপের বিষয়ে।

সুদীপ বললেন, ‘আইডেনটিটি শর্টফিল্ম দেখেই মূলত আমার খোঁজ নেয় “ইনভিজিবল স্টোরিজ”-এর রচয়িতা ও নির্মাতা লার জিয়ান। গত এপ্রিলে তাঁরা আমার আগের স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবির পরিচালক রবিন খানের মাধ্যমে যোগাযোগ করেন। অডিশন হয় ও নির্বাচন হয় অনলাইনে। বাংলাদেশের বেশ কয়জন অডিশন দেন। তবে কিছুদিন পর আমাকে তাঁরা কাজটির জন্য চূড়ান্ত করেন এবং সিঙ্গাপুর যেতে বলেন। গেল জুন মাসে আমি প্রথম পর্যায়ের শুটিং করি সেখানে। একই মাসে ফিরে আসি। আবার জুলাই মাসে যাই। শেষ করে ঢাকায় ফিরি আগস্টে। পুরো কাজ হয়েছে সিঙ্গাপুরে।’

১১ নভেম্বর সুদীপের এইচবিওর কাজটি প্রকাশ পায় ধারাবাহিকটি তৈরির পেছনের গল্প (বিহাইন্ড দ্য সিন) প্রকাশের পর। এদিন এইচবিও এশিয়ার ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ পায় ‘মেকিং অব ইনভিজিবল স্টোরিজ’। আড়াই মিনিট ব্যাপ্তির ভিডিওতে বেশ কয়েকটি দৃশ্যে দেখা মিলেছে ঢাকার অভিনেতা দীপের। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়ার শিল্পীরাও।

কাজটি করতে গিয়ে অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে দীপ বলেন, ‘আমার জন্য এ কাজ স্মরণীয় হয়ে থাকবে আজীবন। অসাধারণ অভিজ্ঞতা। সেটা তো আর বলে প্রকাশ করা যাবে না। তারা আসলে প্রত্যেক মানুষ নিজ নিজ কাজ সম্পর্কে অবগত থাকে। এটাই হলো তাদের মূল সৌন্দর্য। বাড়তি পাওনা হলো, এই সিরিজটি অনেক দেশের শিল্পীদের সমন্বয়ে তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে আমার সহশিল্পী ছিলেন ইন্দোনেশিয়ার এক অভিনেত্রী।’

জানা গেছে, ছয়টি ভিন্ন ভিন্ন গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে ধারাবাহিকটি। এর মধ্যে সুদীপের কণ্ঠে ইংরেজির পাশাপাশি কিছু বাংলা সংলাপও রয়েছে। এইচবিও এশিয়া কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সিরিজটির প্রিমিয়ার হচ্ছে ৫ জানুয়ারি রাত ১০টায় এইচবিও চ্যানেল এবং এইচবিও গো নামের ওয়েবে। তারও আগে প্রকাশ পাচ্ছে সিরিজের ট্রেলার। ছবিটি প্রসঙ্গে এর রচয়িতা, নির্মাতা ও নির্বাহী প্রযোজক লার জিয়ানের ভাষ্য এমন, সিঙ্গাপুরের বহুমাত্রিক সংস্কৃতির অব্যক্ত গল্প ও অন্ধকার জগৎকে তুলে ধরা হবে এই সিরিজে।

সুদীপ সম্প্রতি আরেকটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে কাজ শেষ করেছেন। ছবিটি আগামী বছর মুক্তি পাবে।

About Author Information
আপডেট সময় : ০২:০৯:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০১৯
৫৮৩ Time View

এইচবিওর পর্দায় দেখা যাবে বাংলাদেশের সুদীপকে

আপডেট সময় : ০২:০৯:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০১৯

সবুজদেশ ডেস্কঃ

জনপ্রিয় টিভি চ্যানেল এইচবিওর একটি ধারাবাহিকে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের তরুণ অভিনেতা সুদীপ বিশ্বাস দীপ। ‘ইনভিজিবল স্টোরিজ’ ছয় পর্বের ধারাবাহিকের একটি পর্ব তৈরি হয়েছে দীপকে কেন্দ্র করে। আগামী বছরের ৫ জানুয়ারি এই ধারাবাহিকের প্রচার শুরু হবে। 

দীপ জানান, এর আগে তিনি ২০১৪ সালে আইডেনটিটি শিরোনামে একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন। রুহুল রবিন খান পরিচালিত চলচ্চিত্রটি দেশের বাইরে ৯টি আন্তর্জাতিক উৎসবে দেখানো হয়। ২০১৬ সালে সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত উৎসবে প্রদর্শিত হয়। সেখানে দেখে এইচবিও কর্তৃপক্ষ আইডেনটিটির পরিচালক রুহুল রবিন খানের সঙ্গে যোগাযোগ করে সুদীপের বিষয়ে।

সুদীপ বললেন, ‘আইডেনটিটি শর্টফিল্ম দেখেই মূলত আমার খোঁজ নেয় “ইনভিজিবল স্টোরিজ”-এর রচয়িতা ও নির্মাতা লার জিয়ান। গত এপ্রিলে তাঁরা আমার আগের স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবির পরিচালক রবিন খানের মাধ্যমে যোগাযোগ করেন। অডিশন হয় ও নির্বাচন হয় অনলাইনে। বাংলাদেশের বেশ কয়জন অডিশন দেন। তবে কিছুদিন পর আমাকে তাঁরা কাজটির জন্য চূড়ান্ত করেন এবং সিঙ্গাপুর যেতে বলেন। গেল জুন মাসে আমি প্রথম পর্যায়ের শুটিং করি সেখানে। একই মাসে ফিরে আসি। আবার জুলাই মাসে যাই। শেষ করে ঢাকায় ফিরি আগস্টে। পুরো কাজ হয়েছে সিঙ্গাপুরে।’

১১ নভেম্বর সুদীপের এইচবিওর কাজটি প্রকাশ পায় ধারাবাহিকটি তৈরির পেছনের গল্প (বিহাইন্ড দ্য সিন) প্রকাশের পর। এদিন এইচবিও এশিয়ার ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ পায় ‘মেকিং অব ইনভিজিবল স্টোরিজ’। আড়াই মিনিট ব্যাপ্তির ভিডিওতে বেশ কয়েকটি দৃশ্যে দেখা মিলেছে ঢাকার অভিনেতা দীপের। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়ার শিল্পীরাও।

কাজটি করতে গিয়ে অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে দীপ বলেন, ‘আমার জন্য এ কাজ স্মরণীয় হয়ে থাকবে আজীবন। অসাধারণ অভিজ্ঞতা। সেটা তো আর বলে প্রকাশ করা যাবে না। তারা আসলে প্রত্যেক মানুষ নিজ নিজ কাজ সম্পর্কে অবগত থাকে। এটাই হলো তাদের মূল সৌন্দর্য। বাড়তি পাওনা হলো, এই সিরিজটি অনেক দেশের শিল্পীদের সমন্বয়ে তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে আমার সহশিল্পী ছিলেন ইন্দোনেশিয়ার এক অভিনেত্রী।’

জানা গেছে, ছয়টি ভিন্ন ভিন্ন গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে ধারাবাহিকটি। এর মধ্যে সুদীপের কণ্ঠে ইংরেজির পাশাপাশি কিছু বাংলা সংলাপও রয়েছে। এইচবিও এশিয়া কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সিরিজটির প্রিমিয়ার হচ্ছে ৫ জানুয়ারি রাত ১০টায় এইচবিও চ্যানেল এবং এইচবিও গো নামের ওয়েবে। তারও আগে প্রকাশ পাচ্ছে সিরিজের ট্রেলার। ছবিটি প্রসঙ্গে এর রচয়িতা, নির্মাতা ও নির্বাহী প্রযোজক লার জিয়ানের ভাষ্য এমন, সিঙ্গাপুরের বহুমাত্রিক সংস্কৃতির অব্যক্ত গল্প ও অন্ধকার জগৎকে তুলে ধরা হবে এই সিরিজে।

সুদীপ সম্প্রতি আরেকটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে কাজ শেষ করেছেন। ছবিটি আগামী বছর মুক্তি পাবে।