পাবনাঃ

পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার প্রত্যন্ত দাসবেলাই গ্রামে বিবদমান দুই গ্রুপের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে পিতা ও পুত্র নিহত এবং নারী-পুরুষসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।

একটি জলাশয় দখল নিয়ে পূর্ববিরোধ এবং প্রতিপক্ষের এক গৃহবধূকে কুপ্রস্তাব দেয়ার জের ধরে বুধবার এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষে গুরুতর আহত তোরাব আলী (৭৫) ও তার ছেলে ফজলুর রহমান (৩৫) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফজলুর রহমান এবং বুধবার রাতে তার বাবা তোরাব আলী রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

প্রত্যক্ষদর্শী এবং থানা সূত্র জানায়, ভাঙ্গুড়া উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের দাসবেলাই গ্রামের মসজিদের পুকুর লিজকে কেন্দ্র করে আবদুল গফুর (৫৫) গং ও আবুজল (৫৬) গংয়ের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে গত সপ্তাহে আবুজলের ছেলে মফিদুল ইসলাম (৩৮) আবদুল গফুরের পরিবারের এক গৃহবধূকে (৩৫) কুপ্রস্তাব দেয়।

এ নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে তীব্র উত্তেজনার এক পর্যায়ে বুধবার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এতে নারী-পুরুষসহ অন্তত ১৭ জন আহত হন। এদের মধ্যে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় বুধবার রাতে তোরাব আলী ও তার ছেলে ফজলুল হককে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাতে তোরাব আলী এবং বৃহস্পতিবার দুপুরে তার ছেলে ফজলুল হক মারা যান। অন্যদের ভাঙ্গুড়া উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

তোরাব আলী উত্ত্যক্তের শিকার গৃহবধূর চাচাশ্বশুর এবং ফজলুল হক চাচাতো দেবর।

আবদুল গফুরের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে- ওই পরিবারের এক গৃহবধূকে কুপ্রস্তাব দেয়ার প্রতিবাদ করায় আবুজল ও তার ছেলে তাদের ওপর হামলা চালালে হতাহতের ঘটনা ঘটে।

এ ব্যাপারে আবদুল গফুরের পরিবারের উত্ত্যক্তের শিকার ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে বুধবার ভাঙ্গুড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

গৃহবধূকে কুপ্রস্তাব দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করে ভাঙ্গুড়া থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, গৃহবধূর দায়ের করা মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে সংযুক্ত করা হবে।

তিনি আরও বলেন, এলাকাটি অত্যন্ত দুর্গম এবং দীর্ঘপথ নৌকা নিয়ে যেতে হয়। তারপরও সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে এবং এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। পুলিশ ইতোমধ্যে পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here