ঝিনাইদহঃ
চিকিৎসক ও জনবল সংকটের কারনে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবা তলানিতে পৌঁছেছে। উপজেলার প্রায় পাঁচ লক্ষ মানুষের বিপদের একমাত্র সাথী কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। মেডিকেল অফিসার এবং উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসারের ২৬ টি পদের বিপরীতে চিকিৎসক রয়েছে মাত্র ৪ জন। অ্যানেস্থেশিয়া বিশেষজ্ঞ না থাকায় দীর্ঘদিন যাবত বন্ধ রয়েছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অপারেশন থিয়েটার। এতে চিকিৎসা সেবা বঞ্চিত হয়ে সাধারণ মানুষকে বাধ্য হয়ে যেতে হচ্ছে প্রাইভেট ক্লিনিকে। ফলে খরচের সাথে সাথে বেড়েছে দুর্ভোগ ও হয়রানি।
খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য প্রতিদিন ৩৫০ থেকে ৪৫০ জন রোগীর ভিড় জমে। ৫০ শয্যার হাসপাতাল হলেও রোগী ভর্তি থাকে আরও অনেক বেশি। এতে রোগীদের চাপ সামাল দিতে হিমশিম খায় কর্তৃপক্ষ। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় কোন মতে দেওয়া হয় চিকিৎসা সেবা। সংশ্লিষ্ট ডাক্তাদের দায়িত্বে অবহেলার কারণে কালীগঞ্জ হাসপাতালের চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের ভোগান্তি দিন দিন বেড়েই চলেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকে দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়েও ডাক্তার দেখাতে পারছে না রোগীরা। জনবল সংকটে হাসপাতালের সামনে দীর্ঘ লাইন পড়ে যায়। একে তো চিকিৎসক সংকট, তারউপর আবার সময়মতো ডাক্তার না আসায় অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে চিকিৎসা নেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ।
কালীগঞ্জ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ অরুন কুমার দাস বলেন, আমরা রোগীদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করি। ডাক্তার ও জনবল সংকটের কারনে এমন অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে।
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (টিএইচএ) ডাঃ হুসাইন সাফায়াত জানান, বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আমি আশা করি খুব দ্রুত এই সমস্যা সমাধান হতে পারে। হাসপাতালের ভেতরের ও বাইরের পরিবেশ স্বাস্থ্যসম্মত, পরিচ্ছন্ন, দুর্গন্ধ ও ভোগান্তিমুক্ত রাখার ব্যাপারে ইতোমধ্যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।