edf

ঝিনাইদহঃ

সবার মত স্কুল ব্যাগ কাধে নিয়ে দৌড়ে স্কুলে জেতে চাই, সহপাটীদের সাথে খেলতে চাই, পড়তে চাই। কিন্তু জন্মের চার মাস বয়সে মরিয়মের হার্টে ছিদ্র ধরা পড়ে। ফলে স্কুলে আসতে পারে না মরিয়ম। মরিয়ম ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুর মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেনীর ছাত্রী। আর আরাপপুর বাসষ্ট্যান্ডের চাঁনপাড়ায় তাদের বসবাস।

জন্মের চার মাস বয়সে মরিয়মের হার্টে ছিদ্র ধরা পড়ে এর পর থেতে ‘গত সাত বছর ধরে মেয়ের হার্টের চিকিৎসা করাতে গিয়ে সহায় সম্বল বিক্রি করতে হয়েছে পরিবারকে। এ ছাড়া আত্মীয় স্বজনের কাজ থেকে ধার-দেনা করে সর্বহারা হয়েছে। এখন হয়তো টাকার অভাবে আর চিকিৎসা করা সম্ভব হবে না মরিয়মের। ডাক্তার বলেছে অপারেশনের জন্য দরকার ২ লাখ ৯৬ হাজার টাকা। যা ঝালমুড়ি বিক্রেতা বাবা রবিউল ইসলাম এর পক্ষে যোগার করা সম্বভ না।

প্রতিবেশীরা জানান, মরিয়ম ছোট বেলা থেকেই অসুস্থ, হার্টে ছিদ্র থাকায় শ্বাস কষ্ট হয়। তার বাবা রবিউল ঝাল মুড়ি বিক্রি করে অনেক কষ্ট করেই মেয়েকে চিকিৎসা করাচ্ছেন। মেয়েকে অপারেশনের জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন। কিন্তু অর্থের অভাবে অপারেশন করাতে পারছেন না তিনি।

মরিয়মের স্কুলের শিক্ষকরা জানান, সকালে এ্যসেম্বলির সময় স্কুলের শিক্ষার্থীরা যখন একসঙ্গে জাতীয় সঙ্গীত গাচ্ছিল, তখন শিশু মরিয়ম পিতার কোলে চড়ে সহপাটীদের সাথে মুখ মিলাচ্ছিল। তারা বলেন প্রতিদিন স্কুলে আসার বায়না মেটাতে বাবা কাজ ফেলে কিছু সময়ের জন্য স্কুলে আনে মরিয়মকে।

বাবা রবিউল ইসলাম বলেন, মা, স্ত্রী আর দুই মেয়েকে নিয়ে ঝাল মুড়ি বিক্রি করেই চলে তার সংসার। বড় মেয়ে মরিয়ম ছোট থেকে হৃদরোগে ভুগছে। তার হার্টে ছিদ্র ধরা পড়ার পর সহায় সম্বল বিক্রি করে চিকিৎসা করাচ্ছেন। এখন মরিয়মের বয়স ৭ বছর ৫ মাস। এ পর্যন্ত বাংলাদেশ ও ভারতে পরীক্ষা নিরীক্ষা, ওষুধ এবং যাতায়াত বাবদ খরচ হয়ে গেছে ৫ লাখ টাকা। সর্বশেষ ভারতের রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর ইন্টারন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব কার্ডিয়াক সাইন্স হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. সুকান্ত কুমার বেহারা গত ২৪ আগষ্ট পরীক্ষা নিরীক্ষার পর অপারেশনের কথা বলেছেন। সেখানে থেকে ২ লাখ ৯৬ হাজার টাকার একটি হিসাব ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অথচ এই অর্থ মরিয়মের পিতা রবিউল ইসলামের নেই। সামান্য ঝালমুড়ি বিক্রি করে তার সংসারাই চলে না।

আরাপপুর মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিলুফার ইয়াসমীন জানান, প্রচন্ড মেধা আর ইচ্ছা শক্তি আছে মরিয়মের। কিন্তু রোগের কাছে হেরে যেতে বসেছে মরিয়ম। তিনি বলেন, সাধ্যমতো আমরা স্কুল থেকে সাহায্য তুলে মরিয়মকে চিকিৎসা সহায়তা করে আসছি। তার পিতার আর কিছুই নেই। তিনিও বিভিন্ন ব্যক্তি আর প্রতিষ্ঠানের কাছে আর্থিক সহায়তা চাচ্ছেন মেয়ের হার্ট অপারেশনের জন্য।

সমাজের দানশীল ও বিত্তবানদের মধ্যে কেও মরিয়মকে আর্থিক সহায়তা করতে চাইলে তার পিতা মোঃ রবিউল ইসলামের ০১৯২২৮১৬৬১৪ (বিকাশ) এই মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here