ঢাকাঃ
অবৈধ ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া এসএম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমের সাত দেহরক্ষীকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম হাবিবুর রহমান চৌধুরী এ আদেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক ফজলুল হক এ সাত দেহরক্ষী রিমান্ডে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে দাবি করে তাদেরকে কারাগারে রাখার আবেদন করেন।
কারাগারে যাওয়া সাতজন হলেন মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. মুরাদ হোসেন, মো. জাহিদুল ইসলাম, মো. শহিদুল ইসলাম, মো. কামাল হোসেন, মো. সামসাদ হোসেন ও মো. আমিনুল ইসলাম।
আবেদনপত্রে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, চারদিনের রিমান্ডে নিয়ে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যাদি মামলার তদন্তকাজে যথেষ্ট সহায়ক হবে। তাদের দেয়া তথ্য ও নাম-ঠিকানা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। আসামিরা জামিনে মুক্তি পেলে পলাতক হওয়ার আশঙ্কা আছে।
জি কে শামীমের বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, এ আসামির পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হওয়ায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে।
আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবী আবদুর রহমান হাওলাদারসহ কয়েকজন জামিন চেয়ে আবেদন করেন। আদালত আসামিদের কারাগারে পাঠিয়ে আগামী রোববার জামিন শুনানির দিন ধার্য করেন।
এর আগে আসামিদের মানিলন্ডারিং আইনের মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করে পুলিশ। ঢাকা মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী তাদের গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
গত ২১ সেপ্টেম্বর অস্ত্র আইনের মামলায় সাত আসামির চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ওই দিন অস্ত্র ও মাদকের দুটি মামলায় জি কে শামীমের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ২০ সেপ্টেম্বর গুলশানের নিকেতনে নিজ কার্যালয় থেকে জি কে শামীমকে সাত দেহরক্ষীসহ আটক করে র্যাব। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও অবৈধ ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগ আছে। অভিযানকালে জি কে শামীমের অফিসে অবৈধ অস্ত্র ও মাদক পাওয়া গেছে। এ সময় বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা ও এফডিআর জব্দ করা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও অর্থপাচার আইনে তিনটি মামলা করা হয়।