সবুজদেশ ডেস্কঃ

ভিরগিল ফন ডিক ও ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোকে হারিয়ে অনেকটা অপ্রত্যাশিতভাবেই ফিফা বর্ষসেরা (ফিফা দ্য বেস্ট) ফুটবলারের পুরস্কার জিতেছেন লিওনেল মেসি। মাঝে ৩ বছর ব্যক্তিগত বড় কোনো পুরস্কার পান নি।

দীর্ঘদিন পর আবার বিশ্বসেরা ফুটবলারের মুকুট পাওয়ায় উচ্ছ্বসিত বার্সেলোনার আর্জেন্টাইন তারকা। কিন্তু তার এই পুরস্কার জেতাটা এরই মধ্যে প্রশ্নবিদ্ধ। ফুটবল দুনিয়ায় বইছে বিতর্কের ঝড়। উঠেছে ভোট জালিয়াতির গুরুতর অভিযোগ।

ভোট জালিয়াতির অভিযোগটা অবশ্য ফিফার বিরুদ্ধে। কিন্তু ভোট জালিয়াতির মাধ্যমেই যেহেতু সেরা বেছে নেওয়া হয়েছে, অভিযোগ-বিতর্কটা তাই মেসির বর্ষসেরা হওয়ায় বড় একটা প্রশ্ন চিহ্নই এঁকে দিল। বেশ কয়েকটি দেশের জাতীয় ফুটবল দলের কোচ-অধিনায়ক সরাসরিই ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তুলেছেন।

অভিযোগকারীদের তালিকায় প্রথমেই রয়েছেন সুদান জাতীয় দলের কোচ ড্রাভকো লোগারুসিচ। পুরস্কারের পরপরই প্রকাশ করা হয়েছে কে কাকে ভোট দিয়েছেন। তাতে দেখানো হয়েছে, সুদানের কোচ লোগারুসিচ প্রথম পছন্দের ভোটটা দিয়েছেন মেসিকে। নিজের ভোট জালিয়াতি হওয়া দেখে লোগারুসিচ যারপরনাই বিস্মিত।

তিনি এই ভোট জালিয়াতিটা চুপচাপ মেনে নেননি। অভিযোগ করেছেন প্রকাশ্যে। প্রথমে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে এক পোস্ট ভোট জালিয়াতির অভিযোগটা করেন তিনি।

তার দাবি, বর্ষসেরার দৌড়ে তিনি প্রথম পছন্দের ভোটটা দিয়েছিলেন লিভারপুলের মিশরীয় ফরোয়ার্ড মোহামেদ সালাহকে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ভোটটা দিয়েছেন সাদিও মানে ও কিলিয়ান এমবাপেকে। মেসিকে তিনি ভোটই দেননি। অথচ ফিফা দেখিয়েছে লোগারুসিচ মেসিকে দিয়েছেন প্রথম পছন্দের ভোট। যার সুবাদে মেসি অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে মূল্যবান ৩টি পয়েন্ট।

অভিযোগের প্রমাণ হিসেবে নিজের ভোটের ফরমটাও আপ করেছেন লোগারুসিচ। পরে দুবাইভিত্তিক টিভি চ্যানেল আল আরাবিয়াকে তিনি মুখ্রে বলেছেন, ‘আমি প্রথম ভোটটি সালাহকে দিয়েছি। দ্বিতীয়টি সাদিও মানেকে, তৃতীয়টি এমবাপেকে। স্বাক্ষরের পর ভোটের ফরমের একটা ছবিও তুলে রেখেছি আমি। কিন্তু পরে কী ঘটেছে আমি জানি না।’

নিকারাগুয়ার অধিনায়ক হুয়ান বারেরাও একই অভিযোগ এনেছেন। তারও প্রথম পছন্দের ভোটটি মেসির বাক্সে পড়েছে বলে দেখানো হয়েছে।

কিন্তু সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে এক পোস্টে বারেরা স্পষ্ট করেই বলেছেন, ‘অধিনায়কদের ভোট প্রদানের তালিকা দেখে আমি তো বিস্মিত। আমি মেসিকে কোনো ভোটই দেইনি। অথচ তালিকায় দেখানো হয়েছে, আমি মেসিকে প্রথম পছন্দের ভোট দিয়েছি। এমনটা কীভাবে হলো, বলতে পারব।’

মিশরের ফুটবল ফেডারেশনের অভিযোগ আরও গুরুতর। মিশরের কোচ এবং অধিনায়কের ভোট নিবন্ধিতই হয়নি। মানে তাদের ভোট মিসিং দেখানো হযেছে। অথচ মিশরের কোচ এবং অধিনায়ক দাবি করেছেন, তারা দুজনেই প্রথম পছন্দের ভোট দিয়েছিলেন মোহামেদ সালাহকে। কিন্তু তাদের ভোট নিবন্ধিত না হওয়ায় সালাহর হিসেবে জমা হয়নি।

অনেক ফুটবল বোদ্ধারই অভিমত, অভিযোগের সবে তো শুরু। এদের অনুসরণ করে আরও অনেকেই ভোট জালিয়াতির অভিযোগ আনতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here