ঝিনাইদহঃ

ঝিনাইদহ শহরের হামদহ দাসপাড়ায় অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্য নুরুজ্জামান (৬০) হত্যার মোটিভ ও ক্লু উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। হত্যাকান্ডের ১৭ দিন পার হলেও গ্রেফতার হয়নি খুনি চক্র। ঘাতকরা এখনো অধরাই রয়ে গেছে। তবে পুলিশ বলছে তদন্তে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। দ্রুত সফলতা পাওয়া যাবে হয়তো।

জানা গেছে, অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্য নুরুজ্জামান গত ৯ সেপ্টম্বর হামদহ দাসপাড়ার নিজ বাড়িতে খুন হন। ঘাতক চক্রটি তার বাড়ির সব কিছুই তছনচ করে টিভি, কাপড়, লাগেজ ও মটরসাইকেলের চাবি নিয়ে যায়। তবে কোন টাকা পয়সা সোনাদানা নেয়নি। কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পান্টি বাজারের মৃত আব্দুল করিম বিশ্বাসের ছেলে নুরুজ্জামান বাসা বাড়ি করে ঝিনাইদহ শহরের হামদহ এলঅকায় স্ত্রী সন্তান নিয়ে থাকতেন।

নুরুজ্জামানের বড় ছেলে শাহিন ইমরান বিডিআর বিদ্রোহ মামলার আসামী হিসেবে এখন জেলখানায়। মেজ ছেলে শামিম ইমরান ঝিনাইদহ আদর্শপাড়া ৩ নং ট্যাংকি পাড়ায় ব্যাবসা করেন। আর ছোট ছেলে শাওন ইমরান সেনাবাহিনীতে চাকরী করছেন।

মামলার বাদী নিহত নুরুজ্জামানের স্ত্রী রাশিদা বেগম হতাশা প্রকাশ করে জানান, স্বাামী হত্যা মামলার অগ্রগতি নিয়ে আমি সন্তষ্টি নয়। এখনো পুলিশ কোন আসামী ধরতে পারেনি। মোটিভ এবং ক্লু উদ্ধার করতে পারেনি। বরং পুলিশের পক্ষ থেকে মামলাটি পিবিআইতে হস্তান্তর করার জন্য বলা হচ্ছে। রাশিদা বেগম জানান, আমাদের কোন পারিবারিক বিরোধ নেই। নুরুজ্জামানরা ৭ ভাই। সম্পক্তি নিয়ে বড় ভাইয়ের সাথে সামান্য বিরোধ থাকলেও সেই বিরোধ খুবই তুচ্ছ ছিল। আমি মনে করি না পারিবারিক কারণে আমার স্বামী খুন হতে পারে।

বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি (তদন্ত) এমদাদুল হক জানান, মামাটি নিয়ে পুলিশ কাজ করছে। পারিবারিক বিরোধকে প্রাধান্য দিয়ে আমরা এগুচ্ছি। তবে এখনো আমরা মোটিভ ও ক্লু উদ্ধার করতে পারিনি।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঝিনাইদহ সদর থানার এসআই কামাল হোসেন জানান, নুরুজ্জামানের আঘাতের চিহ্ন দেখে আমরা ধরনা করছি কাছের কেও তাকে খুন করেছে। আমরা সিবিআর ও ল্যাব টেষ্ট নিয়ে কিছুটা এগিয়েছি। তিনিও পারিবারিক বিরোধকে প্রাধান্য দিয়ে তদন্তের কথা জানান।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here