ফাইল ফটো

বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ

ঢাকার জাতীয় হৃদরোগ ইনষ্টিটিউট ও হাসপাতাল থেকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে পালিয়ে আসা ১৩ বছর বয়সী কিশোর (জিয়াদ জোমাদ্দার) ও তার পরিবারের সন্ধান পেয়েছে বাগেরহাটের স্বাস্থ্য বিভাগ।

বুধবার দুপুরে স্বাস্থ্য বিভাগ সদর উপজেলার ডেমা ইউনিয়নের বড় বাঁশবাড়িয়া গ্রামে তাদের সন্ধান পায়। ওই বাড়িসহ দুটি বাড়ী লকডাউন করা হয়েছে। করোনা আক্রান্ত কিশোরকে বাড়িতে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। কিশোরের বাড়িসহ দুটি ১৪ সদস্যের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেলের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।

বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন কবির জানান, গত ১৮ এপ্রিল দিবাগত মধ্য রাতে বাগেরহাট সদর উপজেলার ডেমা ইউনিয়নের বড় বাঁশবাড়িয়া গ্রামের (জালাল জোমাদ্দার) এক ব্যক্তি তার ১৩ বছর বয়সের কিশোর ছেলেকে হৃদরোগের চিকিৎসা করাতে জাতীয় হৃদরোগ ইনষ্টিটিউট হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ছয়দিন পর ১৯ এপ্রিল ওই কিশোরের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ দেখা দিলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য আইইডিসিআরে পাঠায়।

সেখানে গত ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত ওই কিশোর ভর্তি ছিলো। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ২৬ এপ্রিল ওই কিশোর ছাড়পত্র দিয়ে করোনা রিপোর্ট পজেটিভ হলে ঢাকা কুর্মিটোলা করোনা হাসপাতালে ভর্তি করতে বলে, আর রিপোর্ট ভালো হলে বাড়ীতে যেতে বলে। হৃদরোগ ইনষ্টিটিউট থেকে ওই দিন বিকালে পরিবারের সদস্যদের মোবাইল ফোনে জানানো হয় তাদের ছেলের করোনা রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে। দ্রুত তাকে যেন কুর্মিটোলা করোনা হাসপাতালে ভর্তি করান হয়। এখবর জানতে পেরে পরিবারের সদস্যরা তাকে ঢাকার কুর্মিটোলা করোনা হাসপাতালে ভর্তি না করে গোপনে ঢাকা থেকে পালিয়ে বাগেরহাটে গ্রামের বাড়ীতে নিয়ে আসে। করোনা আক্রান্ত ওই কিশোরকে হাসপাতালে ভর্তি না করে পালিয়ে যাবার বিষয়টি মঙ্গলবার (২৮) রাতে হৃদরোগ ইনস্টিটিউট থেকে বাগেরহাট জেলা প্রশাসনকে অবহিত করে। এরপর শুরু হয় করোনা আক্রান্ত ওই কিশোরসহ তার পরিবারের সন্ধান।

বুধবার সকালে বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কেএম হুমায়ুন কবিরসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা আক্রান্ত ওই কিশোরসহ তার পরিবারের সন্ধান পেয়ে সদরের ডেমা ইউনিয়নের বড় বাঁশবাড়িয়া গ্রামে ছুটে যান। ওই কিশোরের বাড়িসহ দুটি বাড়ী লকডাউন করে দেয়। করোনা আক্রান্ত কিশোরকে বাড়িতে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ওই কিশোরের পরিবার ও তার সংষ্পর্শে নারী পুরুষ মিলিয়ে ১৪ সদস্যের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য খুলনার মেডিকেলের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।

তবে কিশোরের অবস্থা আগের থেকে ভাল এবং তার রক্তের নমুনাও সংগ্রহ করে পাঠানো হয়েছে বলে জানান সিভিল সার্জন ডা. কেএম হুমায়ুন কবির।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here