বিশেষ প্রতিনিধিঃ

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শামীমা শিরিন লুবনার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, রোগী, সাংবাদিক ও হাসপাতালে কর্মরত কর্মচারীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা যেন নিয়মে পরিনত হয়েছে।

সোমবার সকালে কালীগঞ্জ বাসীর কাছে একজন সাদা মনের ব্যক্তি হিসাবে পরিচিত লুৎফর রান লাড্ডুর সাথে চরম দূর্ব্যবহার করেন কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ শামীমা শিরিন লুবনা।

এ নিয়ে ফেসবুকসহ শহরে চলছে তীব্র আলোচনা-সমালোচনা। ঘটনাটি এখন টক অব দ্য টাউন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন কালীগঞ্জের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ।

খান তারেক হাসান নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, ফালতু মানুষ গুলার কাছ থেকে সম্মানিত ব্যক্তিত্ব অপমানিত হলে মেনে নেয়া যায়না!!এই গুলাকে বিচারের আওতায় নিয়ে আশা উচিৎ

তরফদার কামরুল ইসলাম লিখেছেন, বিচার চাই, এমন ঘটনা প্রায় ঘটিয়ে থাকে ঐ ডাক্তার।

আল মারুফ নামে একজন লিখেছেন, তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি, পাশাপাশি এই ডাক্তার একজন দুর্নীতিবাজ এর আগে উনাকে নিয়ে নিউজ হয়েছে, উনার বিচার চাচ্ছি।

আবুল কাশেম নামে একজন লিখেছেন, ডাক্তার ম্যাম তুমি না অনেক শিক্ষিত? তোমার বাবার বয়সী লোক তাকে এমন ভাবে কথা বলতে পারলে? তুমি কেমন শিক্ষিতা গো? বাবার বয়সী লোকটার কাছে তুমি ক্ষমা চেয়ে নিও তাতে তোমার মর্যাদা কমবে না বরং বাড়বে।

মোঃ মাহাবুব নামে একজন লিখেছেন, ডাক্তারের কি বাড়িতে বাবা মা নাই সেকি তাদেরকে সম্মান করা শিখে নি এরা শিক্ষার নামে কুশিক্ষা পাইছে যতসব গাধার দল নিয়ে এসে ডাক্তারের এখানে বসাইছে।

মাসুম এম এইচ মাসুম লিখেছেন, একটি মানুষ যোগ্যতা অর্জন করলেই তাকে শিক্ষিত বলা যায় না। শিক্ষিত হতে হলে লাগে স্বশিক্ষা বা যোগত্যাসমৃদ্ধ বিবেক তবে এখনে বোঝায় যাচ্ছে মহিলাটি কথটা বিবেকহীন। আর বিবেকহীন ব্যাক্তি শুধু পশুর পরিচয় বহন করে মানুষের নয়।

ইজাজ উৎস নামে একজন লিখেছেন, অনুমতি না নিয়ে ঢোকা উচিত হয়নি কিন্তু তার থেকে বড় কথা অপমান করা এবং নেশাখোর বলা, এটা অগ্রহণযোগ্য এবং এমন পদস্থ ব্যক্তির কাছ থেকে এমন ব্যবহার পাওয়া দুঃখজনক।

ইশিতা তাসনিম শাপলা লিখেছেন, অনুমতি নিয়ে রুমে প্রবেশ করায় সাধারণ ভদ্রতা।কিন্তু ,মুরুব্বী মানুষ ,ভুল করলে সুন্দর করে বুঝিয়ে বলা যেতোঅন্যের ভদ্রতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে গিয়ে নিজেই অভদ্র ও উদ্ধত আচরণ করছেন।

আশিকুর রহমান আশিক নামে একজন লিখেছেন, আমার সাথেও এমন ব্যবহার করেছিল মিস লুবনা। তার চা খাওয়ার সময় আমি ভুল করে তার চেম্বারে নক করেছিলাম। এটাই আমার অন্যায় ছিলো।যাইহোক এতো দিন কিছু বলি নাই, ভাবছিলাম হয়তো আমার ই ভুল ছিলো। কিন্তু আজ লাড্ডু কাকার মতো পিতৃতূল্যো মানুষের সাথে এমন ব্যবহার মানা যায় না।তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি

এরআগে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে করোনার সময়ে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীরা হোটেলে না থেকেও ভুয়া বিল ভাউচার দেখিয়ে ৫৭ হাজার ৬০০ টাকা এবং হোটেলে খাওয়া বাবদ ৯৬ হাজার টাকা তুলে নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। দুর্নীতি দমন কমিশন বিষয়টি তদন্ত করছেন।

আরো পড়ুন: কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার এ কেমন ব্যবহার?

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here