যশোরঃ

ভালোবাসার মানুষটি ঠকিয়ে ভারতে চলে গেছে শুনেই গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন কলেজছাত্রী সাথী হালদার (১৭)।

সাথী যশোরের মনিরামপুর উপজেলার রোজিপুর গ্রামের প্রভাষক সুভাষ হালদারের মেয়ে। মনিরামপুর থানা পুলিশ সাথীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

রোববার এ ঘটনার পর সোমবার সকালে আত্মহত্যার প্ররোচণার দায়ে পিতা ও পুত্রসহ ৫ জনের নামে থানায় মামলা হয়েছে।

মামলার আসামিরা হলেন পার্শ্ববর্তী কেশবপুর উপজেলার পাঁজিয়া গ্রামের বিকাশ পাল ও তার ছেলে পংকজ পাল, একই গ্রামের হারুন সরদার, শহিদুল ইসলাম এবং একই উপজেলার পাথরঘাটা গ্রামের আবদুর রহিম।

সাথীর পিতা সুভাষ হালদার জানান, তার মেয়ে ভবদহ কলেজের প্রথম বর্ষে পড়ছিল। এর মধ্যে পাঁজিয়া গ্রামের বিকাশ পালের ছেলে পংকজ পালের সঙ্গে সাথীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সম্পর্কের জের ধরে গত বুধবার পংকজ পাল তার মেয়েকে খুলনায় নিয়ে একদিন রেখে বৃহস্পতিবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।

রোববার কেশবপুর উপজেলার বাগডাঙ্গা গ্রামের দুইজন অপরিচিত ছেলে বাড়িতে এসে মেয়েকে বলে পংকজকে ভারতে পাঠিয়ে দিয়েছে তার বাবা বিকাশ পাল। এ কথা শুনেই মেয়ে মন খারাপ করে চুপচাপ হয়ে যায়। মেয়েকে বুঝিয়ে বাবা কলেজশিক্ষক সুভাষ হালদার ও মা স্কুলশিক্ষিকা গীতারানী হালদার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চলে যান।

বাড়িতে ফিরে মেয়েকে ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া না পেয়ে খুঁজতে গিয়ে দ্বিতল বাড়ির চিলেকোটায় আড়ায় ঝুলতে দেখেন মেয়ের লাশ।

খবর পেয়ে সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার রাকিব হাসান, ওসি রফিকুল ইসলাম, পরিদর্শক (তদন্ত) সিকদার মতিয়ার রহমান ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিকদার মতিয়ার রহমান জানান, এ ঘটনায় থানায় আত্মহত্যার প্ররোচণার দায়ে ৫ জনের নামে মামলা হয়েছে। তবে এখনো কেউ আটক হয়নি।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here