ঢাকাঃ

রাজধানীর মগবাজারে বিয়ের আসরে কথিত প্রেমিকের ছুরিকাঘাতে কনের বাবার মৃত্যু হয়েছে। এসময় কনের মাও গুরুতর জখম হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে মগবাজারের দিলু রোডের প্রিয়াঙ্কা কমিউনিটি সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে।

এসময় সেখানে উপস্থিত জনতা ওই প্রেমিককে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।

পুলিশ জানায়, নিহত কনের বাবারা নাম তুলা মিয়া (৪৭)।

আহত কনের মা ফিরোজা বেগম (৩৫)কে রক্তাক্ত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গ্রেফতার যুবকের নাম সজীব আহমেদ রকি। তিনি নিজেকে ওই মেয়ের প্রেমিক দাবি করেন।

আহতের ভাই আলমগীর হোসেন বলেন, বুধবার ভাগনীর গায়ে হলুদ যায়। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বিয়ের অনুষ্ঠান। দুপুর দেড়টার দিকে রকি ঐ অনুষ্ঠানে গিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমার বোন ও ভগ্নিপতি কে কুপিয়েছে। এতে আমার ভগ্নিপতি মারা গেছেন।

তিনি বলেন, ভগ্নিপতির বাড়ি  টাঙ্গাইলের মধুপুর গ্রামে। বর্তমানে মগবাজার দিলু রোড প্রিয়াঙ্কা হাউজিং সংলগ্ন একটি টিনসেট বাসায়, পরিবার নিয়ে থাকতেন ।

হাতিরঝিল থানার উপপরিদর্শক এসআই মোঃ রমজান বলেন, এ ঘটনায় ঘাতক রকি কে আটক করা হয়েছে। তাকে ঢামেকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে থানায় রাখা হয়েছে।

হাতিরঝিল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুর রশিদ বলেন, দুপুরে কমিউনিটি সেন্টারে ১২-১৫ জনকে নিয়ে ঘরোয়া আয়োজনে বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল। সেই অনুষ্ঠান প্রবেশ করে সজীব। এসময় তার সাথে মেয়ের মা-বাবার সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ওই যুবক কনের বাবা তুলা মিয়াকে ছুরিকাঘাত করে। এতে কনের মা বাধা দিলে তাকেও ছুরিকাঘাত করে। তখন দু’জনকে উদ্ধার করে নিকটস্থ ইনসাফ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক কনের বাবাকে মৃত ঘোষণা করেন। কনের মাকে ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ওসি জানান, প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে পূর্ব প্রেমের সম্পর্কের জের ধরেই এই হত্যাকাণ্ড।

প্রেমিক রকি কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলায় আব্দুল আহামেদ বারীর ছেলে, সে মগবাজারের বাটার গলিতে থাকে।

ঢামেকে আটক রকি বলেন,সে সপ্নার সাথে বহু বছর যাবত প্রেম করতো।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here