ঢাকাঃ

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের নবোদয় হাউজিংয়ে শিশু খন্দকার সামিউল আজিম ওয়াফি (৫) হত্যার দায়ে মা আয়েশা হুমায়রা ও তার প্রেমিক বাক্কুর মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া প্রত্যককে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

রোববার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ রায় ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণার সময় আসামিরা উপস্থিত না থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

গত ২৩ নভেম্বর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের তারিখ ধার্য করেন। রায়ে সন্তষ প্রকাশ করছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর ফারুক উজ্জামান ভূঁইয়া (টিপু)।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, প্রেমিক শামসুজ্জামান আরিফ ওরফে বাক্কুর সঙ্গে মায়ের অনৈতিক কর্মকাণ্ড দেখে ফেলায় ২০১০ সালের ২৩ জুন শিশু সামিউলকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এরপর লাশ গুম করতে ফ্রিজে ঢোকানো হয়। পরে লাশটি বস্তায় ঢুকিয়ে ২৪ জুন রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়।

সামিউল নবোদয় হাউজিংয়ের গ্রিনউড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ইংরেজি মাধ্যমে প্লে গ্রুপে পড়ত। ২৪ জুন সামিউলের লাশ আদাবরের নবোদয় হাউজিং এলাকা থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহত শিশুর বাবা কেএ আজম বাদী হয়ে ওই দিনই আদাবর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এশা ও বাক্কু হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহান হক ২০১২ সালের ২৫ অক্টোবর এশা ও বাক্কুর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন। মামলাটির বিচার চলাকালে আদালত ৩২ জনের মধ্যে ২২ জনের সাক্ষ্য নেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here