পাবনা প্রতিনিধিঃ
গত ২৪ ঘন্টায় পাবনায় ৫৭ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে এ পর্যন্ত জেলায় মোট ৬৮৮ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া জেলায় ৩ হাজার ৩০০ জন বিদেশ থেকে আসলেও তারা কোথায় আছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি মঙ্গলবার দুুপরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির বিশেষ সভায় জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, পাবনায় এখন পর্যন্ত কোন করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়নি। যে একজনকে করোনা সন্দেহে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছিলো তার নেগেটিভ ফলাফল এসেছে। তবে আজ পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইনে আছে ৬৮৮ জন। তাছাড়া সবাইকে আতঙ্ক না হয়ে সচেতন হওয়ার আহŸান জানান তিনি। প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের না হওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।
জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের না হওয়ার অনুরোধ করেন। এদিকে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় জেলায় আসা যৌথ বাহিনী বুধবার (২৫ মার্চ) থেকে মাঠে থাকবেন বলে জানা গেছে।
এদিকে পাবনার সিভিল সার্জন ডা: মেহেদী ইকবাল জানান, ইতোমধ্যে পাবনা জেলা হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকদের সেফটির জন্য প্রয়োজন মোতাবেক পিপি বিতরণ করা হয়েছে।
এদিকে জেলা প্রশাসনের নির্দেশনার পরেও শহরে ব্যপক লোক সমাগম দেখা যায়। বাজার গুলোতে ক্রেতা বিক্রেতাদের সমাগম ব্যপক ভাবে লক্ষ করা গেছে। আর এই পরিস্থিতিতে জেলা প্রশাসক বাজার মনিটরিং করলেও অসাধু ব্যবসায়ীরা চালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি করে বিক্রি করছে বলে অভিযোগ করেন ক্রেতারা। এখনো পাবনার বড় বাজারে পাইকারী চালের দোকানে প্রতি বস্তা চাল বিক্রি হচ্ছে বস্তা প্রতি তিন থেকে চারশ’ টাকা বেশি দামে। আটা বিক্রি হচ্ছে প্রতি বস্তাতে একশত টাকা বেশি দামে। জেলায় গত এক সপ্তাহে হোম কোয়ারেন্টাইন ও বাজার মোবাইল কোটের মাধ্যমে প্রায় ৫ লাখ টাকা জরিমানা আদায়সহ দাম বৃদ্ধি ও আইন অমান্য করায় ৫টি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক। জেলা সবচাইতে বেশি হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে ঈশ^রদী উপজেলাতে ২৮৫ জন তার পরেই পাবনা সদরের ১৭৭ জন।
এদিকে পাবনার সিভিল সার্জন ডাঃ মেহেদী ইকবাল জানান, পাবনায় গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ৫৭ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এনিয়ে সর্বমোট পাবনায় ৬৮৮ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে। এদিকে করোনা ঝুকি থেকে সাধারন মানুষদের রক্ষা করতে মঙ্গলবার থেকে পাবনায় সব ধরনের আবাসিক হোটেল, শপিংমল, বিপণি বিতান, মার্কেট, চায়ের দোকান বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে।