নারায়ণগঞ্জঃ
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে বাস কন্ডাক্টরকে মারধর করে দাঁত ফেলে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সোমবার রাতে আহত বাস কন্ডাক্টর আবুল মিয়া বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সুস্মিতসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে বন্দর থানায় মামলা করেন।
বাস কন্ডাক্টর আবুল মিয়া (৪৮) বন্দরের ১নং মাধবপাশা এলাকার মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে।
বাস কন্ডাক্টর আবুল মিয়া বলেন, সোমবার সকাল ১০টায় প্রয়োজনীয় কাজে আমি আমার বন্ধুর বাড়ি বাড়ইপাড়া এলাকায় যাই। এ সময় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাড়ইপাড়া এলাকার আবু মিয়ার ছেলে মহানগর ছাত্রলীগের যুগ্ম-সম্পাদক সুস্মিত ও একই এলাকার জাকির মিয়ার ছেলে পিয়াস এবং হায়াতুর রহমানের ছেলে সানোয়ারসহ অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জন আমাকে পিটিয়ে আহত করে একটি দাঁত ফেলে দেয়।
এ ব্যাপারে মহানগর ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সুস্মিত বলেন, একটি মহল ছাত্রলীগের সুনাম নষ্ট করতে উঠে-পড়ে লেগেছে। বাঁধন বাসের কন্ডাক্টর আবুল হোসেনের সঙ্গে আমার কোনো পূর্ব বিরোধ ছিল না। মুলত বাড়ৈপাড়া এলাকায় কিছুদিন আগে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারামারি হয়। একজন অসহায় ছেলেকে একটি পক্ষ বেধড়ক পিটিয়ে জখম করে।
ঘটনার পরে আমি জানতে পেরে মৌখিকভাবে এর প্রতিবাদ করি ও বিচারের দাবি জানাই। এর জের ধরে ঘটনার সঙ্গে আমার সম্পৃক্ততা না পেয়েও আমাকে জড়িয়ে থানায় অভিযোগ করে। আমার বাড়ির সামনে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগকারীদের পক্ষ নিয়ে ওই বাস কন্ডাক্টর অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে এবং বাড়িঘর ভাংচুর করে।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম জানান, দাঁত ফেলে দেয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। ছাত্রলীগ নেতাসহ তার সহযোগীদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।